স্টাফ রিপোর্টার: আশাশুনির মিত্র তেতুলিয়া কাদাকাটি ইউনিয়নের মন্টু অধিকারীর পুত্র রাকেশ অধিকারী ফেসবুকে মুসলিম জাহানের হৃদয়ের স্পন্দন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তি করায় কাদাকাটি ইউনিয়নের মিত্র তেতুলিয়া ইউনিয়নসহ আশাশুনি উপজেলার ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা প্রতিবাদী মিছিল বের করেন এ সময় আশাশুনি থানার সাবেক ওসি বিশ্বজিৎ কুমার অধিকারীর নির্দেশে সাবেক তদন্ত ওসি রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে এস আই শাহিনুর রহমান ও আশাশুনি থানার সঙ্গীয় ফোর্সসহ ডিবি পুলিশ বাজারে অবস্থান করেন । আসর নামাজ শেষে বিভিন্ন মসজিদ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মিছিলে যুক্ত হয়ে মেইন রোডে উঠার চেষ্টা করলে পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম, এস আই শাহিনুর রহমান ও সাথে থাকা ডিবি পুলিশ শান্তিপূর্ণ ওই মিছিলে বাধা প্রদান করেন । পুলিশের ভয়ে এতদিন মুখ না খুললেও গণঅভ্যুত্থানের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পর এলাকাবাসী ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা একের পর এক মুখ খুলতে শুরু করেছে । তেতুলিয়া বাজার জামে মসজিদের ইমাম রমজান আলী বলেন ২৪ মে ২০২৪ বাদ জুম্মা রোজ শুক্রবার আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম আসরের নামাজের পূর্বে সাবেক তদন্ত ওসি রফিকুল ইসলাম আমার মসজিদে এসে আমাকে বললেন মিছিল করা যাবে না, আমি বললাম কেন করা যাবে না তারপর তদন্ত ওসি রফিকুল ইসলাম আমাকে ধমক দিয়ে বলেন বললাম না করা যাবে না । এবং মিছিল প্রত্যাহারের মাইকে ঘোষণা দিতে বাধ্য করেন । তেতুলিয়া চর মসজিদের আরেক ইমাম মাওলানা হোসাইন আহমদ জানান তদন্ত ওসি রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ আমাদের মিছিলে বাধা দেন ও এস আই শরিফুল ইসলাম আমার উপর চড় উঠিয়ে মারতে আসে আমি এর বিচার চাই ।
আশাশুনি থানার পুলিশ পরিদর্শক সাবেক ওসি তদন্ত রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন ও প্রতিবাদী মিছিলে বাধা দেওয়া এবং গ্রেফতারের হুমকির বিষয়টি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করেন ।
বড়দল ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার হাফেজ রুহুল আমিন বলেন সেদিন আশাশুনি থানার সাবেক ওসি বিশ্বজিৎ কুমার অধিকারীর নির্দেশে পুলিশ আমাদের গ্রেফতার করার হুমকি ও মিছিলে বাঁধা প্রদান করে ।
আমি বাদী হয়ে রাকেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করেছিলাম কিন্তু আশানরূপ কোন ফল পাইনি ।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি একে ইউসুফ বলেন স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে পুলিশ ছিল অন্যতম হাতিয়ার । আমাদের হৃদয়ের স্পন্দন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর কটুক্তি কারীকে প্রকাশ্যে ও গোপনে যে সকল প্রশাসন সহযোগিতা করেছেন তাদেরকে চাকরি থেকে অপসারণ করে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি ।