আবু সাঈদ বিশ^াস, শাহজান, মুজাহিদ: জাতীয় স্বার্থের ক্ষেত্রে সবকিছুর উর্ধ্বে উঠে ইস্পাত কঠিন ঐক্য চাইলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন দেশের আকাশে কালো মেঘ জমেছে। দেশের আাকাশে কালো শকুন দেখা যাচ্ছে। তাদেরকে কোনরকম সুযোগ দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।
গতকাল শনিবার সাতক্ষীরা জেলার ঐতিহাসিন কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা সদরের সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুর রহমান।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, কোরআনের কথা বলতে গিয়ে, আল্লাহর দ্বীনের কথা বলতে গিয়ে সত্য কথা গিয়ে বাংলাদেশের কোন জেলা এতো জীবন এবং রক্ত উপহার দেয়নি। সাতক্ষীরার মতো বাংলাদেশের কোন জেলা সাতক্ষীরার মতো এত রক্ত উপহার দেয়নি। এজন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কাছে সাতক্ষীরা মর্যাদা অনন্য উচ্চতায়। আল্লাহ যেন এই জেলার মর্যাদা যেন ক্রমাগত বৃদ্ধি করে দেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আমাদের প্রিয় জন্মভূমি। আল্লাহ তায়ালার মেহেরবানি। দুনিয়ের খুব কম জায়গাতেই এমন দেশ রয়েছে। আমরা এমন একটি দেশ পেয়েছি; মাটির উপর অফুরন্ত সম্পদ। মাটির গর্ভে অফুরন্ত সম্পদ, সমুদ্রেও অফুরন্ত সম্পদ। কিন্তু আমাদের সম্পদগুলো জনগণের উপকারে আসছে না। যারা জনগণের কর্তা হয়ে ক্ষমতায় এসে বিভিন্ন সময় দেশ শাসন করেছেন; তারা জনগনের সম্পদ সুকৌশলে চুরি করে লুন্ঠন করে পকেটে ঢুকিয়েছেন। এজন্য বাংলাদেশের জনগণ তাদের হিস্যা পায়নি।
আমীরে জামায়াত উল্লেখ করেন ২০১৫ সালে শহীদ পরিবারের সাথে দেখা করতে এসেছিলাম। সকাল ৯/১০ থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত আমি দেখেছি এই জেলার রাস্তাঘাট ভাঙ্গাচুরা দেখেছি। মোটর সাইকেলে করে সারা জেলা ঘুরার চেষ্টা করেছি। তাদের জিজ্ঞেস করেছিলাম——— উন্নয়নের জোয়ারে দেশ ভাসছে ? জোয়ারের সামান্য ছিটেফোটা কি এখানে আসে না ?তারা জানায়না আসে না। তারা জানায় বাংলাদেশের শাসকগোষ্ঠী সাতক্ষীরাকে বাংলাদেশের অংশ মনে করে না। আপনাদের ওপর তারা জুলুম করেছে।
তারা জনগণের অধিকার দেয়নি। সাতকীরার ওপর জুলুম করেছে। খুন—গুম করেছে। ইজ্জতের ওপর হাত দিয়েছে। সম্পদ লুন্ঠন করেছে মানুষকে তারা দাসে পরিণত করেছে। সবচেয়ে খারাপ করেছে সাতক্ষীরায়।শুধু দ্বীনের পক্ষ নেওয়ায় যদি এই অবস্থা হয় তাহলে হে আল্লাহ দুনিয়া এবং আখেরাতে এই জেলার মর্যাদা বাড়িয়ে দেওয়ার প্রার্থনা করেন।
ডা. শফিকুর রহমান ওয়াদা করেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশের মানুষের কাছে ওয়াদাবদ্ধ। আমরা দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। সুষম উন্নয়ন দিতে চাই। কেউ চাইলেও. না চাইলেও তার অধিকার পাবে। লক্ষ যুবক বেকার থাকবে না। শিক্ষা সমাপনির সাথে সাথে কাজ ধরিয়ে দেওয়া হবে। নৈতিক এবং জাগিতিক শিক্ষার সমন্বয় হবে।
তিনি বলেন আমরা এমন একটি দেশ চাই, যেখানে মাবোনেরা ঘরে এবং বাইরে নিরাপদে থাকবে। তারা কর্মস্থল এবং রাস্তাঘাটে সুরক্ষা পাবেন. নিরাপদে থাকবেন। দক্ষতা দিয়ে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন। নবী যুদ্ধক্ষেত্রেও নারীদের যুক্ত করেছেন।
তিনি ইতিহাস টেনে বলেন. বিশেষ করে বদরের যুদ্ধের কঠিন দিনে তিনি নারীকে যুক্ত করেছেন। যখন কাফেররা খুব কাছাকাছি চলে এসেছিল হত্যা করার জন্য। যখন পরুষযোদ্ধারা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন। তখন একজন নারী আল্লাহর রাসুল (সা) কে ঘুরে ঘুরে সুরক্ষা দিয়েছিলেন। তার শরীরে ৩৭ তীর ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। রাসুল সা. বলেছেন যখনই শক্র আমার প্রতি তীর নিক্ষেপ করেছেন তখনই ওই নারী তীর আমার শরীরে লাগতে দেননি। যখনই তীর এসেছে ওই নারী ঘুরে ঘুরে তিনি নবীকে সেফ করেছেন। তিনি হলেন মুসাইবা (রা :)। রাছুল যদি নারীকে যুদ্ধ ক্ষেত্রে নারীকে কর্ম দিয়ে থাকেন তাহলে আমরা কে ? যে তাদের হাত বন্ধ করার।
আমাদের ব্যাপারে ইসলামের প্রতিপক্ষ শত্রুরা অপপ্রচার চালায়, জামায়াত ইসলামী ক্ষমতায় গেলে মহিলাদের ঘর থেকে বের হতে দিবে না। আর যদি দেয়ও তাদের জোর করে একটা বোরকা পরিয়ে দিবে।
জামায়াতের আমীর নিশ্চয়তা দিয়ে বলেন, জামায়াতে ক্ষমতায় গেলে কারো ওপর জোর খাটানো হবে না। যখন ইসলাম কায়েম হবে তখন মা বোনেরা আনন্দের সাথে ইজ্জত রক্ষার জর্য পর্দা পালন করবে। এরপরও যদি কোন মা বোন পোশাকের ক্ষেত্রে আপত্তি থাকে তাদের কোন রকম বাধ্য করা হবে না। এদেশে অন্য ধর্মের মানুষ বসবাস করে। অন্য ধর্মের মানুষকে ধর্ম গ্রহন করতে বাধ্য করা হবে না। মন্দির গির্জা পাহারা লাগবে না।
বাগানে মাঝে মাঝে হুতুম পেঁচা ঢুকে পড়ে। তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। আশরাফুর মাখলুকাত হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হবে না। পরিচ্ছন্ন কর্মীরাও আমাদের কাছে ভিআইপি। রিকশাওয়ালাকে স্যালুট জানাই। তাদের কাজের মর্যাদা দেওয়া হবে। কৃষক আপমর জনতা মর্যাদা এবঙ দায়িত্বের সাথে কাজ করবে।
চমৎকার সাম্প্রদায়িক দেশ আমাদের। কিন্তু আমাদের বাগানে মাঝে মধ্যে হুতুম পেঁচা ঢু ক পরে। হুতুম পেচাদের ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আমরা সম্পৃতি নষ্ট হতে দিবো না। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই; সব মানুষকে কাজের মর্যাদা দিবো। আমরা যদি এমন বাংলাদেশ গড়তে চাই তাহলে সবাই কাজ করতে হবে। আমরা চাই, জাতীয় স্বার্থে সবকিছুর উর্ধ্বে উঠে ইস্পাত কঠিন ঐক্য চাই।
তিনি বলেন, এই যে ২৪ এর স্বাধীনতা এমনি এমনিতে আসেনি। ২০০৬ সালে ২৮অক্টোবর প্রকাশ্যে দিবালোকে লগি বৈঠা দিয়ে হত্যা করে আমার সন্তানদের ওপর খুনিরা লাফালাফি করেছে। সেইদিন বাংলাদেশপথ হারিয়েছিল। সেই পথহারা বাংলাদেশ দীর্ঘ পথ পরিক্রমার পর ২০২৪ সালে আবার তার পথে ফিরে এসেছে। এরমাঝে অনেক রক্ত দিতে হয়েছে। ৫৭ জন চৌকস সেনা অফিসারকে খুন করা হয়েছে। এরপর জামায়াতে ইসলামী নেতৃবৃন্দকে খুন করা হয়েছে। শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে বিচারের নামে জুলুম করে হত্যা করা হয়েছে।
এছাড়া আপনাদের পাশ^র্বর্তী জেলা ঝিনাইদাহ খুনের তান্ডব চালানো হয়েছে। সবশেষ ২০২৪ পর্যন্ত খুনের রক্তে ভাসতে হয়েছে। এসব অভিযোগে ছাত্র—জনতা রাস্তায় নেমে এসেছিল। ছাত্রদের হাতে কোন আগ্নেয়াস্ত্র ছিল না। এমনকি তাদের হাতে কোনইট পাথরও ছিল না। কোটা সংস্কারের জন্য; কোটা বাতিলের জন্যও না। তারা বলেছিল কোটার নামে জাতির সাথে মেধার সাথে তামাশা করবেন তা আমরা মানবো না।
কিন্তু সরকার একদিকে তাদের বাহিনীকে নামিয়ে দিলো; আরেকদিকে সরকার তাদের স্বশস্ত্র গোন্ডাদের নামিয়ে দিলো। এতে দেড় হাজারের বেশি আমাদের সন্তান ছোট সময়ের মধ্যে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছে। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোর থেকে ২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত জালিমদের অত্যাচারে যারা বিদায় নিয়েছেন, আমরা আল্লার দরবারে দোয়া করি তাদের শহীদ হিসেবে কবুল করুন।
তিনি বলেন, আসার পথে দেখলাম রাস্তাঘাটে উপচেপড়া মানুষ। বাঙলাদেশকে প্রাণ উজার করে ভালবাসি। জুলুম করা হলেও দেশ থেকে পালিয়ে যাইনি। যারা দেশকে ভালবাসে তারা পালিয়ে যেতে পারে না। এখানে বাঁচতে চাই। লড়াই করতে চাই। এবং এই দেশকে দুনিয়ার একটি শ্রেষ্ঠ দেশে পরিণত করতে চাই।
তিনি উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দেন আপনারা প্রস্তুত? লাখো কন্ঠে জবাব আসে জি¦ পৃস্তুত। সারাদেশে আওয়াজ উঠেছে। জীবন দিবো দেশের এক ইঞ্চি মাটি দিবো না। যারা বুক চিতিয়ে দিয়েছে তাদের নূর দা¦রা পরিপূর্ণ করে দাও। মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই। যুবসমাজের হাতে তুলে দিতে চাই্। যারা বয়স্করা কি বেজার হয়েছেন। না। ছেলের কৃতিত্ব বাবার কাছে অটোমেটিক হয়ে যাবে।
গরে ঘরে আওয়াজ ছড়িয়ে দিন। পৃথিবীর শ্রেষ্ট দেশ গড়তে চাই। শকৃনকে মাটিতে নামতে দেওয়া যাবে না। কেউ কেউ সুরসুরি দেয়। প্রতিপক্ষ বলে ৫ লাখ লোক হত্যা করা হবে বলা হয়েছিল। হত্যা করা কি হয়েছে? না।
উস্কানি দেওয়া হলেও পাতানো ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না। দেশে বিদেশে সমান তালে লড়াই করেছে। বিদেশে যারা আছেন তাদের অভিবাদন জানাই। তাদের আত্মীয় স্বজনকে হয়রাণি করা হয়েছে।
এরা পশু। পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট। ঐজাত থেকে চিরমুক্তি চাই। এরা যেন ফিরে না আসতে পারে। এক টুকরা কোরআনের বাংলাদেশ কবুল করুন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ বলেন, ইনসাফপূর্ণ সমাজের জন্য গণঅভ্যুত্থান সফল করতে হলে সৎ নেতৃত্বে কায়েমের বিকল্প নাই। সকল পর্যায়ের নেতৃত্বে ,সৎ মানুষের সমাহার ঘটাতে হবে। নইলে আমরা প্রতারিত হতে হবে। ৪৭ সালে ৭১ সালে এবং ২৪ স্বাধীনতায় আমরা স্বাধীন হতে পারেনি। আমরা কাঙ্খিত সমাজ পেতে সাতক্ষীরা জেলার ৪টি আসন সহ সবখানে যোগ্য মানুষের নেতৃত্ব যেন কায়েম করি।
কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা অঞ্চলের পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আমাদের মৃত্যুর ভয় দেখাতে চেয়েছিল। কিন্তু মাওলানা নিজামী প্রমাণ করেছেন যে আমরা মৃত্যুকে ভয় করি না। তারা মূলত বাঘের লেজে পা দিয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলার সাবেক আমীর ও খুলনা অঞ্চল টিম সদস্য মুহাদ্দিস রবিউল বাশার বলেন— জালিম সরকার বিচারিক হত্যা করেছে। মিথ্যা মামলায় হয়রাণি করেছে। বার বার নেতার পরিবর্তন হলেও নীতির পরিবর্তন হয়নি। স্বাধীনতা এখনো বাকী রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মাওলানা আজিজুর রহমান বলেন, সাতক্ষীরাতে আমাদের ৪৬ জন ভাইকে শহীদ করেছে। কিন্তু আমাদের নরম করতে পারেনি। ইসলামী আন্দোলনের জন্য সাতক্ষীরা দেশের মডেল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সাবেক এমপি ও জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য গাজী নজরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করেছিল এই দেশ থেকে জামায়াত শিবির উৎখাত করবে। কিন্তু তারা নিজেরাই উৎখাত হয়ে গেছে।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কেদ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. খলিলুর রহমান মাদানী, জেলা নায়েবে আমীর নুরুল হুদা, ডা. মাহমুদুর হক, খুলনা অঞ্চল টিম সদস্য মাস্টার শফিকুল আলম, অধ্যক্ষ মাওলানা মশিউর রহমান, খুলনা মহানগর আমীর অধ্যাপক মাফুজুর রহমান,বাগের হাট জেলা আমীর মাওলানা রেজাউল করিম প্রমূখ।
কর্মী সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা জেলার আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল।
জেলা সেক্রেটারি আজিজুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ তিনবার ভোট চুরি ডাকাতি এবং প্রশাসনের লোকজনকে দিয়ে করিয়েছে। দেশের মানুষের অধিকার হরণ করেছে। তিনি বলেন নতুন বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ।
কর্মী সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা সহকারী সেক্রেটারি গাজী সুজাআত আলীম অধ্যাপক ওবায়দুল্লাহ, মাওলানা ওসমানগণি, সাতক্ষীরা শহর শাখা সভাপতি আল—মামুন ও জেলা শাখা শিবিরের সভাপতি ইমামুল ইসলাম প্রমূখ।
বেলা তিনটায় ডা. শফিকুর রহমান সম্মেলনের সভামঞ্চে আসেন। ততক্ষণে কর্মী সম্মেলনের মাঠ ছাড়িয়ে আশপাশের অলিগলি মানুষে মানুষে সয়লাব হয়ে যায়। শহরের অলিগলি পেরিয়ে বাসাবাড়ীর ছাদে ওঠেও কর্মী সম্মেলনের ভাষণ শোনার চেষ্টা করেন। এসময় পুরো সাতক্ষীরা শহর উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়।
এদিকে এর আগে জেলা শহরের পল্লীমঙ্গল হাইস্কুল মাঠে রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ডা. শফিকুর রহমান। সেখাানে উপস্থিত কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন, নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ প্রমূখ। ##