সাতক্ষীরা সংবাদদাতাঃ ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন করতে হলে ইসলাম ও সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞানার্জনের কোন বিকল্প নেই। মানব রচিত মতাদর্শের বিপরীতে ইসলামী আদশের্র শ্রেষ্ঠত্ব, সৌন্দর্য মানুষের সামনে তুলে ধরার জন্য নিজেদেরকে অনুকরণীয় মডেল হিসেবে উপস্থাপন করতে হবে। সত্য, সুন্দর ও কল্যাণকর কাজে অন্য সকলের চেয়ে জামায়াতে ইসলামীর কর্মীদেরকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।” বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত রুকন প্রার্থী ও অগ্রসরকর্মী শিক্ষা শিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মুহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ এসব কথা বলেন। গতকাল ১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয়ের কাজী শামসুর রহমান মিলনায়তে দিন ব্যাপি এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা চলে সন্ধা পর্যন্ত।
জেলা শাখার আমির মুহাদ্দিস আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে এবং জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ও তারবিয়াত সেক্রেটারী ডা. মাহমুদুল হকের উদ্বোধনী বক্ত্যবের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া কর্মশালায় অন্যান্যে মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জামায়াতের জেলা নায়েবে আমীর শেখ নুরুল হুদা, সেক্রটারী মাওলানা আজিজুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারী প্রভাষক ওবায়দুল্লাহ, কর্মপরিষদ সদস্য এড আব্দুস সুবহান মুকুল, জামশেদ আলম, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ও চেয়ারম্যান মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিক, শহর নায়েবে আমীর ফখরুল হাসান লাভলু, সদর জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা আজাদুল ইসলাম, শহর জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারী হাবিবুর রহমান, এড আবু তালেব, মাষ্টার বদিউজ্জামানসহ অনেকে।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি মুহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ আরো বলেন, ইসলামের সোনালী অধ্যায় রচনায় একদল জিন্দাদীল, পরিচ্ছন্ন, সাহসী, আল্লাহ ভীরু ও জান্নাত প্রত্যাশী আসহাবে রাসূলের ভূমিকা বিশ্ববাসীর সামনে সমুজ্জল। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও আত্মত্যাগের কারণে ইসলাম ও ইসলামী তাহজীব-তামাদ্দুন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। জামায়াতে ইসলামীর কর্মীদেরকে আসহাবে রাসূলের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অর্জন ও অনুসরণে ব্রতী হয়ে ইসলামী সমাজ বিনির্মাণে ভূমিকা পালন করতে হবে।”