শ্যামনগর প্রতিনিধি: পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে শরিফুল ইসলাম (২৪)নামে স্থানীয় এক ছাত্র সমন্বয়কের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। শ্যামনগর সদর যুবদলের সক্রিয় কর্মী হাফিজুল ইসালামের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে নকিপুর বাজারে ঘটনাটি ঘটে। এসময় শরিফুলকে উদ্ধারে এগিয়ে গেলে তার ভাই ফরিদ হোসেন ও ভাইপো নাজমুল হামলাকারীদের হাতে মারধরের শিকার হয়। আহত তিনজনেক রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সহায়তায় শ্যামনগর থানা পুলিশ কামাল হোসেন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। শ্যামনগর উপজেলা ছাত্র সমন্বয় কমিটির সদস্য শরিফুল চন্ডিপুর গ্রামের ওয়েজকুরুনী গাজীর ছেলে। কালিগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের সম্মান তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সে।
শরিফুল ইসলাম জানান তার পিতা নিজের মালিকানাধীন দোকানের ভাড়াটিয়া যুবলীগ কর্মী কামাল হোসেনের কাছে বকেয়া বিদ্যুতের বিল চাইতে যায়। এসময় বিল না দিয়ে বরং অপমান করে তার পিতাকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। বিষয়টি জানতে পেরে তিনি ঘটনাস্থলে পৌছানো মাত্র কামালের ভাড়াটে লাঠিয়াল হিসেবে আগে থেকে সেখানে অবস্থানরতরা ক্রিকেটের স্ট্যাম্প ও লোহার রড নিয়ে তার উপর চড়াও হয়। যুবদলকর্মী হাফিজুল ছাড়াও কামাল, জাকির, সাইফুল, আব্দুল্লাহ ও হাফিজুরসহ ১২/১৪ জন তাকে পিটিয়ে রক্তাত্ত্ব করে।
এবিষয়ে জানতে হাফিজুলের সাথে যোগযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মুটোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে কামাল হোসেন জানান দু’জনের হাতাহাতির সময় হাফিজুল কেন সংঘর্ষে জড়িয়েছিল বিষয়টি তার জানা নেই।
শ্যামনগর থানার ওসি (তদন্ত) ফকির তাইজুর রহমান বলেন, ছাত্র সমন্বয়কের উপর হামলার ঘটনায় তার পিতা পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত সাত/আট জনের বিরুদ্ধে মামলা (যার নং-১২)করেছে। ইতোমধ্যে অন্যতম আসামী কামালকে গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে