বাংলাদেশ-ভারতের আন্তঃসীমান্ত সাতক্ষীরার দেবহাটা এলাকার ইছামতি নদীর ভাঙ্গন কবলিত অংশ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শেষ হল নদীর বাঁধ নির্মানের কাজ। শনিবার (৩১ আগস্ট) উপজেলার ভাতশালা বিশ্বাসবাড়ি এলাকায় এ কাজে অংশ নেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামি সাতক্ষীরা জেলার আশরি মুহাদ্দিস রবিউল বাশারসহ ৪০০শতাধীক নেতৃবৃন্দ। সকালে ভাঙনে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন ও স্বেচ্ছাশ্রমর ভিত্তিতে বাঁধের ভরাট কাজের উদ্বোধন করেন জেলা জামাতের আমীর হাফেজ মুফতি মুহাদ্দিস রবিউল বাশার।
এসময় মুহাদ্দিস রবিউল বাশার জানান, দেশের মানুষের জানমাল রক্ষা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমরা সব সময় মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করি। নদী ভাঙন রক্ষায় যথাযর্থ বরাদ্দ দিয়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মান করা হোক। না হলে এই এলাকা নদীর মধ্যে ভেসে যাবে। তাই দেশ রক্ষায় সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। পরিদর্শন শেষে বাংলাদেশের সীমানা রক্ষায় দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন জেলা জামাতের আমীর হাফেজ মুফতি মুহাদ্দিস রবিউল বাশার। পরে কোমরপুর এলাকায় নদীর বাঁধ ভাঙন এলাকার কাজ পরির্দশনে যান তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী আলহাজ্ব মাহাবুবুল আলম, উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা অলিউল ইসলাম, জেলার অন্যতম সদস্য এম আসাদুজ্জামান মুকুল, উপজেলা জামাতের নায়েবী আমীর মহিউদ্দীন মাহমুদ, সখিপুর আলিম মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা শামসুল আরিফ, উপজেলা সেক্রেটারী মাওলানা এইচ এম ইমদাদুল হক, পারুলিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ, সাবেক নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক, কুলিয়া ইউনিয়ন আমীর মাওলানা আনারুল ইসলাম, পারুলিয়া ইউনিয়ন আমীর আবু ইউসুফ, সখিপুর ইউনিয়ন সেক্রেটারী আফসার আলী, নওয়াপাড়া ইউনিয়ন আমীর ইঞ্জিনিয়ার মাহাবুব আলম, দেবহাটা ইউনিয়ন আমীর আবুল হোসেন, উপজেলা ইউনিট সদস্য মাসুম খান চৌধুরী সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা অলিউল ইসলাম জানান, আমরা নদীর বাঁধ রক্ষায় জামায়াত ইসলামের প্রায় ৪ শতার্ধীক নেতাকর্মী এ বাঁধ রক্ষায় দেশ ও জাতির কল্যাণে এ কাজে অংশ নিয়েছি। সকলের প্রচেষ্টায়া প্রাথমিক ভাবে বাঁধ রক্ষা হয়েছে। আশা করি এর মাধ্যমে ভাঙনের হাত থেকে আমরা এবারের মত রেহায় পাব।
উল্লেখ্য যে, দীর্ঘদিন ধরে দেবহাটা উপজেলার ভাতশালা এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দেয়। নদীর মুল বেঁড়িবাধ ভেঙে প্লাবিত হওয়ার আশাঙ্কা দেখা দিলে ঢাকাস্থ দেবহাটা উপজেলা সমিতির প্রচেষ্টায় কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। পরে এ কাজের সহযোগী হিসাবে কাজ শুরু করে জামায়াত-শিবির, সদ্য বিলুপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান আল ফেরদাউস আলফা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংগঠন দরদি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আমাদের টিম মানবিক পরিবার, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ও সর্বস্থরের মানুষ এ কাজে অংশ নেন। পরবর্তীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে প্যালাইটিং দিয়ে বাঁধ দেওয়া হলে সেখানে ইট ও বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন রোধ করা হয়।