সাতক্ষীরা চিত্র : ।সাতক্ষীরা জেলা আইনবীজী সমিতির পুরাতন বার ভবন নিয়ে ষড়যন্ত্র ও রাতের অন্ধকারে লাইব্রেরী, আসবাবপত্র ভাংচুরসহ আইন ও ধর্মীয় গ্রন্থ অবমাননার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার জেলা আইনজীবী সমিতির দ্বিতীয় তলার হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে আইনজীবীরা এই অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. এম শাহ আলম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৮৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবি সমিতি একটি ঐহিত্যবাহী প্রতিষ্ঠান। এখানে শের ই বাংলা এ কে এম ফজলুল হক, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মত মহাপুরুষদের পদচারণায় পূণ্য ও পবীত্র স্থান হিসেবে আইনজীবীদের হৃদয়ের মনিকোঠায় স্থান পেয়েছে। এই সমিতির ৫ শতাধিক সদস্য জেলার ২২ লক্ষ মানুষের প্রয়োজনীয় আইনী সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। এই বার ভবনের সম্পত্তি নিয়ে জেলা পুলিশ বিভাগের সাথে দেওয়ানী ২৭৯/১৪ নম্বর মামলা চলমান আছে। তাছাড়া হাইকোট ডিভিশনে একটি রীট করা হয়েছে। যেখানে বিবাদী পক্ষের প্রতি নিষেধাজ্ঞার আদেশ বহাল আছে।
তিনি আরো বলেন, ২০১৮ সালে রাতের অন্ধকারে অজ্ঞাতনামা লোকজন অবৈধভাবে পুরাতন বারের তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে আসবাবপত্র ভাংচুর করে। একইভাবে গত ২১ আগষ্ট ২০১৯ তারিখে গভীররাতে আবারো অজ্ঞাতনামা লোকজন পুরাতন বারের লাইব্রেরীর তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে আলমারীর গ্লাস ভাংচুর করে সেখানে রাখা মুসলমানদের পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ আল-কোরআন এবং হিন্দু ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ গীতা, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন সম্বলিত বহু বই পুস্তক এবং বাংলাদেশ সংবিধান তছনছ করে। একই সাথে সেগুন কাঠের তৈরী শত বছরের পুরাতন চেয়ার, টেবিল ভাংচুর করে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করা হয়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সমিতির সভাপতি বলেন, পুলিশের সাথে চলমান মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণের পূর্বের রাতে বারের প্রবীন সদস্য ও ওই মামলার স্বাক্ষী এড. শহীদুল্লাহর বাড়িতে দুই গাড়ি পুলিশ গিয়ে অভিযান চালায়। তার বাড়ি ভাংচুর করে এবং তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়। তিনি এ সময় পুরাতন এই বারের সম্পত্তি রক্ষার্থে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন বারের সাধারণ সম্পাদক এড. তোজাম্মেল হোসেন তোজাম, সিনিয়র আইনজীবী এড. একেএম শহীদুল্লাহ, সাবেক সভাপতি এড. গোলাম মোস্তফা, এড. আবুল হোসেন প্রমুখ।