March 16, 2018
নিউ মার্কেট তো চেনার উপাই নেই

নিজস্ব প্রতিনিধি: গাছের যে প্রাণ আছে, শত বছর আগে বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু তা প্রমাণ করে গেলেও বিজ্ঞাপনদাতারা তা ভুলে গেছেন। আইন করে নিষিদ্ধ করা সত্ত্বেও দেদারছে চলছে পেরেক ঠোকাঠুকি। ব্যাানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড ঝুলানো হচ্ছে গাছে। অথচ কাজটাকে নিষিদ্ধ করে ‘দেওয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন’ নামে ২০১২ সালে জাতীয় সংসদে পাস হয়েছিল আইন। একেকটা গাছ অক্সিজেনের কারখানা। পরিবেশের সবচেয়ে বড় বন্ধু গাছ। কিন্তু সাতক্ষীরা শহরের গাছে গাছে পেরেক ঠুকে লাগানো হয়েছে ব্যানার, ফেস্টুন। এতে নষ্ট হচ্ছে শহরের সৌন্দর্য। সাতক্ষীরা শহরের রকসি সিনেমা হলের বিপরীতে রাস্তার অর্ধেকের ও বেশি জায়গা দখল করেছে লাক্স এর বিজ্ঞাপনটি। শুধু তাই নয়, নিউ মার্কেট তো চেনার উপাই নেই। এদিকে জজকোর্ট এলাকার ভিতরে গাছে গাছে পেরেক ঠুকে মারা হয়েছে বিভিন্ন হারবাল কোম্পানির বিজ্ঞাপন। এছাড়া রাস্তার ধারে গাছে এমনভাবে হারবাল কোম্পানিগুলো বিজ্ঞাপন লাগিয়ে রাখে দেখলে মনে হয় তারা যৌন রোগে আক্রান্ত।
শুধু তাই নয়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শহর থেকে বেরিয়ে, উপজেলাগুলোতে ঢোকার প্রধান প্রধান রাস্তার ধারে গাছে পেরেক ঠুকে নেতারা চালাচ্ছে নির্বাচনী প্রচারণা। শহরের সৌন্দর্য ও গাছ রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকগণ।
এ ব্যাপারে কৃষিবিদ আমজাদ হোসেন বলেন, পেরেকের কারণে গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। কমে যায় উৎপাদন। এর ফলে গাছ মারা যেতে পারে। এটাকে এখনই যদি বন্ধ করা না যায়, তবে ভবিষৎতে শহরের পরিবেশ তার ভারসাম্য হারাবে। পেরেক লাগানোর কারণে গাছের গায়ে যে ছিদ্র হয় তা দিয়ে পানি ও এর সঙ্গে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ও অণুজীব ঢোকে। এতে গাছের ওই জায়গায় দ্রুত পচন ধরে। ফলে তার খাদ্য ও পানি শোষণ প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়।
তিনি বলেন, শক্তিশালী মনিটরিংয়ের অভাবে এ ধরণের পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের প্রবণতা আছে। স্ব-উদ্যোগে কোনও কোনও সংগঠন এই সাইনবোর্ডগুলো নামানোর পর আবারও একই অবস্থা দাঁড়ায়। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে শক্তিশালী মনিটরিং টিম গঠন করে অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানো উচিত।

More News


সম্পাদক র্কতৃক প্রকাশিত

e-mail: alorparosh@gmail.com- --