দৈনিক পত্রদূত ও দৈনিক কালের চিত্রের ডিক্লারেশন বাতিলের দাবী জানিয়েছে সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
রেববার সকালে শহরের লাবনী সিনেমা হল মোড়ে অনুষ্ঠিত হয় এই সমাবেশ। এতে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ থেকে শো’কজের চিঠি পাওয়া সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম শওকত হোসেন। শহরে চলমান গুড়পুকুরের মেলা ও বৃষ্টির মধ্যে ব্যস্ততম এলাকার সব গাড়ি ও রাস্তার মুখ বন্ধ করে অস্বাভাবিক যানজটের মধ্যে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সাতক্ষীরা থেমে থাকবে না। এখানেও উন্নয়ন হচ্ছে, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ যাচ্ছে। গুটি কয়েক মানুষের জন্য সব মানুষ খারাপ থাকতে পারে না’। তিনি দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত ৭০ এর সাবেক গণপরিষদ পরিষদ সদস্য দৈনিক পত্রদূতের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক, বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা, মুক্তিযোদ্ধা স ম আলাউদ্দিনকে নিজের সহযোদ্ধা উল্লেখ করে সমালোচনা করেন।
জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুনার রশীদের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, শ্রমিক লীগ সভাপতি সাইফুল করিম সাবু, যুবলীগ আহবায়ক আবদুল মান্নান, মহিলা লীগ সম্পাদক জোসনা আরা, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু সায়ীদ, সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক মো. শাহজাহান আলি, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম মোরশেদ, ডা. মনসুর আহমেদ, সাবেক বিশেষ পিপি এড. ফরিদা আক্তার বানু প্রমূখ।
উল্লেখ্য, গত ২৫ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হায়দার আলি তোতার বাড়ি থেকে নয় জুয়াড়িকে টাকা ও সরঞ্জামসহ আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। সাতক্ষীরার দৈনিক পত্রদূত ও দৈনিক কালের চিত্র পত্রিকায় এ সংক্রান্ত খবরে উল্লেখ করে বলা হয় সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবির মামাতো ভাই। ঐদিন জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতেও এই সম্পর্কের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় ‘উল্লেখ্য যে, বর্ণিত সৈয়দ হায়দার আলী @ তোতা সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং সাতক্ষীরা-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তক আহম্মেদ রবি‘র মামাতো ভাই বলে জানা যায়।’ তবে আত্মীয়তার সম্পর্কের বিষয়টি বাদ দিয়ে রাতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আরও একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।
এদিকে প্রকাশিত খবরে সংসদ সদস্যের নাম প্রকাশ করায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সাংসদ ও তার অনুসারী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। রোববারের জনসভায় ওই দুটি পত্রিকা ও দুই সম্পাদকসহ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কটূভাষায় বিষোদগার করা হয়। তবে সমাবেশে জুয়ার আসর পরিচালনাকারী হায়দার আলি তোতা প্রকৃতপক্ষে ওই জনপ্রতিনিধির আত্মীয় কিনা তা নিয়ে কোনো কথাই বলেন নি বক্তারা।