October 3, 2018
সবচেয়ে ভুক্তভোগী হবে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া’#সাংবাদিকদের স্বাধীনতা বাধাপ্রাপ্ত হবে’:মনজুরুল আহসান বুলবুল

  আলোরপরশ নিউজঃ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটিতে সবচেয়ে ভুক্তভোগী হবে অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া। ইতোমধ্যে সম্পাদক পরিষদ এই আইনটি নিয়ে তাদের প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছে। আর এই পরিষদ প্রিন্ট মিডিয়াকে প্রতিনিধিত্ব করে। কিন্তু অনলাইন মিডিয়ার প্রতিনিধিত্ব করে না। আমরা যারা অনলাইন মিডিয়ায় আছি, তাদের কেউ সেখানে গেছেন কিনা তা আমার জানা নেই। ফলে আমি চাই আমরা যারা স্টেকহোল্ডার আছি—তাদেরও সঙ্গে রাখা হোক। সব ধরনের মিডিয়ার সম্পাদকদের এখানে যুক্ত করা উচিত।’ বাংলা ট্রিবিউনের সম্পাদক জুলফিকার রাসেল এসব কথা বলেন।

 বাংলা ট্রিবিউনের আয়োজনে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এপিঠ-ওপিঠ’ শীর্ষক বৈঠকিতে তিনি এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪টায় বাংলা ট্রিবিউন বৈঠকি শুরু হয়।

রাজধানীর শুক্রাবাদে বাংলা ট্রিবিউন স্টুডিও থেকে এ আয়োজন সরাসরি সম্প্রচার করে এটিএন নিউজ। পাশাপাশি বাংলা ট্রিবিউনের ফেসবুক ও হোমপেজে লাইভ দেখা যায় বাংলা ট্রিবিউন বৈঠকি।

জুলফিকার রাসেল বলেন, ‘আইন করা হয় জনস্বার্থে। আর সাংবাদিকরা জনস্বার্থেই কাজ করে। কিন্তু, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনটিতে বলা হলো, যদি কোনও অফিসের গোপন তথ্য প্রকাশ হয় এবং সেটিতে যদি জনস্বার্থ আঘাতপ্রাপ্ত হয়, তাহলেই আইনটি প্রয়োগ করা যাবে। কিন্তু সাংবাদিকরা যদি মনে করে সরকারি কোনও অফিসের দুর্নীতি অথবা কোনও অনিয়ম জনস্বার্থেই প্রকাশ করা উচিত, সাংবাদিক তখন মনে করবেন জনগণকে সেই তথ্যটি জানানো তার দায়িত্ব। কিন্তু সেটা জনস্বার্থে প্রকাশ করার পর সরকার যদি মনে করে এটা জনস্বার্থ আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে; তখন ওই সাংবাদিককে তো জেলে যেতে হবে।’

মুন্নী সাহার সঞ্চালনায় বৈঠকিতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা এবং বেসরকারি টিভি চ্যানেল ডিবিসি’র চেয়ারম্যান ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ড. মো. গোলাম রহমান, একুশে টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল, সারাবাংলা ও গাজী টিভির এডিটর ইন চিফ ইশতিয়াক রেজা।

আরও খবর:

‘‘৩২ ধারায় ‘গুপ্তচর বৃত্তি’ শব্দ বাদ দিয়ে পুরনো আইন ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টকে’ই আনা হলো। অফিসিয়াল সিক্রেসি ধারাটি নিয়ে সরকার কর্তৃপক্ষ বলছে, এটার অপপ্রয়োগ হওয়ার আশঙ্কা নেই। কিন্তু আমরা দেখছি- সাংবাদিকদের সাংবাদিকতার স্বাধীনতাই বাধাপ্রাপ্ত হবে। অপপ্রয়োগ তো পরের বাধা।’’ ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এপিঠ-ওপিঠ’ শীর্ষক বৈঠকিতে একুশে টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল এসব কথা বলেন। দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের আয়োজনে মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে চলছে বাংলা ট্রিবিউন বৈঠকি।

মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন,‘অনলাইন নিউজ পোর্টাল কিন্তু এখনও গণমাধ্যম হিসেবে অন্তর্ভুক্ত নয়। সরকার চাচ্ছে একটি নিতীমালা করে অনলাইনকে গণমাধ্যমের নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করতে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের খসড়া যখন প্রণয়ন করা হলো, তখন থেকে গোটা প্রক্রিয়া নিয়েই হতাশা কাজ করছে আমাদের মধ্যে। যখন এটার খসড়া হলো তখন আমাদেরকে বলা হলো সংসদীয় কমিটিতে আমাদের মতামত জানাতে। আমরা জানালাম। পরে বিল পাস হওয়ার আগে তিনটি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুটি বৈঠক হওয়ার পর সর্বশেষ বৈঠকটি আর হলো না। তার আগেই বিল পাস করা হলো। আমি মনে করি তৃতীয় বৈঠক হলেই এই আপত্তিগুলোর সমাধান হয়ে যেতো।’

তিনি বলেন, ‘বিল পাস হয়ে যাওয়ার পরে তিন মন্ত্রী আবার এটা নিয়ে আলোচনা করছেন। কিন্তু এটা তো বিল পাস হওয়ার আগে হওয়ার কথা ছিল।

মনজুরুল আহসান বুলবুল আরও বলেন, ‘আমরাও চাই দেশের স্বার্থে আইনটি হোক। আমরাও এটাকে শতভাগ সমর্থন করি। কিন্তু আইনটি সংবাদ মাধ্যম বা মূল ধারার সাংবাদিকদের ওপর যেন অপপ্রয়োগ না হয়, সেদিক বিবেচনা করেই একটি পদ্ধতি রাখা হোক। সাংবাদিকদেরকে জনস্বার্থে কাজের স্বাধীনতা দেওয়া হোক। কিন্তু আইন হওয়ার পর সাংবাদিকদের ওপর অপ্রপ্রয়োগ হলে তারপর ব্যবস্থা নেবেন, এটা তো যুক্তিযুক্ত নয়।’

মুন্নী সাহার সঞ্চালনায় বৈঠকিতে অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা এবং বেসরকারি টিভি চ্যানেল ডিবিসি’র চেয়ারম্যান ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ড. মো. গোলাম রহমান ও বাংলা ট্রিবিউনের সম্পাদক জুলফিকার রাসেল।

More News


সম্পাদক র্কতৃক প্রকাশিত

e-mail: alorparosh@gmail.com- --