August 22, 2019
‘২১ আগস্ট হামলার পরিকল্পনাকারী তারেক, বাস্তবায়ন করেছেন খালেদা’: খালিদ মাহমুদ# তারেক রহমানকে ফরমায়েশি রায়ে সাজা দেয়া হয়েছে’:রিজভী

সাতক্ষীরা চিত্র:  নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘১৫ আগস্টে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যা ঘটনায় মূল নায়ক ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। আর ২১ আগস্টের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন তারেক রহমান।’

২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ঘটনার বাস্তবায়নে ছিলেন তারেক রহমানের মা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিবি ফাউন্ডেশন আয়োজিত জতীয় শোকদিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘১৫ ও ২১ আগস্ট হামলা কি একই সূত্রে গাঁথা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ সব মন্তব্য করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

সভায় খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, ‘১৫ আগস্ট ইতিহাসের ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ড। আর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাও ইতিহাসের পৈশাচিক ঘটনা। এ দু’ঘটনায়ই একসূত্রে গাঁথা। কারণ এ দুই হত্যাকাণ্ডের পেছনেই জিয়া পরিবারের হাত রয়েছে।’

তিনি যোগ করেন, ‘বাংলাদেশ একটি স্বনির্ভর জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে জেগে উঠুক তা কখনই চায়নি জিয়া পরিবার। যে কারণে শেখ পরিবারকে ধ্বংস করে স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রতিষ্ঠার চক্রান্তে মেতেছিল জিয়া। তিনি একটি স্বাধীন দেশকে বিকলাঙ্গ করতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাসহ শেখ পরিবারকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন।’

আগামী প্রজন্মকে ১৫ আগস্টের সেই বর্বর হত্যাকাণ্ডের আসল রহস্য জানাতে হবে। বিষয়টি সময়ের দাবি জানিয়ে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত ঘটনা বের করতে অবিলম্বে কমিশন গঠনের দাবি জানাচ্ছি।

বিবি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সাবেক ছাত্রনেতা বাহাদুর বেপারীর সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, বিবি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান তপন, সাপ্তাহিক বর্তমান সংলাপের নির্বাহী সম্পাদক আলাউদ্দিন আলম প্রমুখ

 

তারেক রহমানকে ফরমায়েশি রায়ে সাজা দেয়া হয়েছে’:রিজভী

তারেক রহমানকে ফরমায়েশি রায়ে সাজা দেয়া হয়েছে: রিজভী

একুশে আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়াম্যান তারেক রহমানকে ফরমায়েশি রায়ে সাজা দেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, আমরা প্রথম থেকেই দেখছি-আওয়ামী লীগ একুশে আগস্ট বোমা হামলা মামলা নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রাজনীতি করছে। মূলত ২১ আগস্টের ঘটনা ছিল গভীর নীলনকশার অংশ, যে নীলনকশার সঙ্গে ক্ষমতাসীনরা জড়িত কিনা তা নিয়ে জনমনে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। এ মামলার সামগ্রিক সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত হলে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসত। কিন্তু তা না করে সুপরিকল্পিত নীলনকশা অনুয়ায়ী এ ঘটনাকে ন্যক্কারজনক কায়দায় সম্পূর্ণ রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করে আসছে আওয়ামী লীগ। তার বড় প্রমাণ হলো- কথিত সম্পূরক চার্জশিটের নামে এ মামলায় তারেক রহমানকে জড়িয়ে ফরমায়েশি রায়ে সাজা দেয়া, যা ছিল সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, গভীর ষড়যন্ত্রমূলক ও দীর্ঘদিনের মাস্টারপ্ল্যানের ফসল।

তিনি বলেন, ১/১১-এর পর ১৬৪ ধারায় মুফতি হান্নানের জবানবন্দিতে তারেক রহমানের নাম ছিল না। শুধু এ মামলায় তারেক রহমানের নাম বলানোর জন্য অন্য মামলায় ৪১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে অমানসিক ও নির্মম নির্যাতন করা হয় মুফতি হান্নানকে। তার হাত-পায়ের নখ পর্যন্ত উৎপাটন করে ফেলা হয়। পৃথিবীর কোনো দেশেই এ ধরনের নজির নেই। ৪১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে অমানসিক নির্যাতন করে মুফতি হান্নানকে দিয়ে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানের নাম বলতে ও তথাকথিত স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করেন কাহার আকন্দ, যার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। একই ব্যক্তির একই মামলায় দুবার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির নজিরও নেই।

পরবর্তী সময়ে আদালতে আবেদন করে মুফতি হান্নান তার তথাকথিত স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্যও প্রত্যাহার করে নেন এবং তার ওপর বর্বোরচিত নির্যাতনের বিবরণ দেয়। মুফতি হান্নানের ওপর নির্যাতন চালিয়ে তারেক রহমানকে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ফাঁসানোর জন্য পুরস্কারস্বরূপ কাহার আকন্দের বারবার পদোন্নতিসহ চাকরির মেয়াদ বাড়ানো হয়।

একুশে আগস্ট জড়িত থাকলে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দেশ ছেড়ে পালাতেন এমন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, যখন প্রধানমন্ত্রী বলছেন- খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান জড়িত তা হলে এত বড় ঘটনার পর তাদের তো দেশ থেকে সরে যাওয়ার কথা। অপরাধ করলে তারেক রহমান দেশ থেকে সরে যেতেন। কিন্তু তিনি তো দেশ থেকে কোথাও যাননি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া শেষ দিন পর্যন্ত গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন। তার যে সংগ্রাম এ সংগ্রাম হচ্ছে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার সংগ্রাম। আজ দেশনেত্রীর পর্বতসম জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে শুধু প্রতিহিংসাপরায়ণতায় ৫৬১ দিন কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রী ও তার দলের কতিপয় নেতা নির্জলা মিথ্যাচার প্রপাগান্ডায় জনগণকে বিভ্রান্ত করার নিস্ফল চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে সত্য চেপে রাখা যায় না।

More News


সম্পাদক র্কতৃক প্রকাশিত

e-mail: alorparosh@gmail.com- --