August 21, 2019
সাতক্ষীরায় সাত দিন ব্যাপি “বৃক্ষ রোপন অভিযান ও বৃক্ষ মেলা” শুরু

আলোর পরশ নিউজ পরিকল্পিত ফলচাষ, যোগাবে পুষ্টিসম্মত খাবার ও শিক্ষায় বন প্রতিবেশ আধুনিক বাংলাদেশ” শ্লোগানে সাতক্ষীরায় সাত দিন ব্যাপি “বৃক্ষ রোপন অভিযান ও বৃক্ষ মেলা” শুরু হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন, সামাজিক বন বিভাগ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরার যৌথ আয়োজনে ২১ আগস্ট বুধবার সকাল ১০টায় সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে হতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাকপার্কে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে মেলা উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ।
পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মো.বদিউজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। আর আজ ২১ শে আগস্ট বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য গ্রেনেড মেরে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। শোকের মাসে আমাদের অংঙ্গিকার হবে পরিবেশ ও প্রতিবেশকে সুরক্ষা করা। গাছ আমদের বেচে থাকার জন্য অক্্িরজেন দেয়। বাংলাদেশে যে মরু করনের কারন তা হল আগের মত গাছ না থাকা। তাই বেঁচে থাকার জন্য তোমরা বাড়িতে গাছ রোপন করে পরিবেশ ও প্রতিবেশকে সুরক্ষা করবে। সাতক্ষীরার গুড়পুকুর মেলাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে বৃক্ষ রোপন কর্মসুচি চালু করা হয়। সাতক্ষীরার আম, কুল ও পেয়ারা রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অনেক জেলাতে এ চাহিদা অনেক বেশি। সাতক্ষীরার আম রাজশাহীর আমকে পিছনে ফেলে বাজার দখল করেছে। বনকে কেন্দ্র করে যে পর্যটন গড়ে উঠেছে। কেনিয়ার সাফারী পৃথিবীর অন্যতম শুধুমাত্র গাছের কারনে। গাছ আমাদের অক্্িরজেন দেয়, ঠান্ডা বাতাসসহ ভুমি ক্ষয়রোধ থেকে রক্ষা করে। সাতক্ষীরা গুড়পুকুর মেলাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে বৃক্ষ রোপন কর্মসুচি চালু হয়েছে সে জন্য সাতক্ষীরার বাসি গর্বিত। এ সময় তিনি সরকারি নীতি মেনে নার্সিরী মালিকদের স্থায়ী অফিসের জন্য জায়গা বরদ্ধ দেওয়ার আশ^াস দেন। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন একটি গাছ কাটলে পরিবেশ ও প্রতিবেশকে সুরক্ষাতে ফলজ, বনজ ও ঔষধিসহ তিনটি গাছ লাগাতে। আয়োজক কমিটিকে পরবর্তী কোন কর্মসুচিতে শিক্ষর্থীরা গড়মে যাতে কষ্ট না পাই তার ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেন। আর শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, মুরবীরা যখন কথা বলবে কথা না বলে তা মনোযোগ সহকারে শুনবে। তা নাহলে অনেক কিছু জানা থেকে পিছিয়ে পড়বে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সামাজিক বন বিভাগ যশোরের বিভাগীয় বন কর্মকতা সরোয়ার আলম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরার উপপরিচালক কৃষিবিদ অরবিন্দু বিশ্বাস। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বন বিভাগ সাতক্ষীরার মারুফ বিল্লাহ, জেলা তথ্য অফিসার মোজাম্মেল হক, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপিসহ জেলা প্রশাসন, সামাজিক বন বিভাগ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তবৃন্দ।
আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস.এম.মোস্তফা কামাল মেলার স্টল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে লিটনস স্টলে উদ্ভাবিত পোর্টেবল চুলার উদ্বোধন করেন। ২১ আগষ্ট বুধবার হতে শুরু হওয়া এ বৃক্ষ রোপন অভিযান ও বৃক্ষ মেলা আগামী মঙ্গলবার পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে মেলা শেষ হবে।
জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে নার্সারী প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশগ্রহণ করেছে। বৃক্ষ মেলায় প্রায় ৩২ স্টল স্থান পেয়েছে। মেলায় ১৪ জন উপকারভোগীকে ৫৮ হাজার ২ শত ৩১ টাকা প্রদান করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাতক্ষীরা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য সচিব মোশফিকুর রহমান মিল্টন।

More News


সম্পাদক র্কতৃক প্রকাশিত

e-mail: alorparosh@gmail.com- --