May 18, 2018
সাতক্ষীরায় বজ্রপাতে নিহত ৮ # জেলা ব্যাপি আতঙ্ক
আলোর পরশ নিউজ সাতক্ষীরা: বজ্রপাতে নিহতের ঘটনায় জেলা ব্যাপি আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আকাশে বিদ্যুৎ চমকালেই সকলের মণ আতঙ্ক হয়ে পড়ছে। গতকাল শুক্রুবার দুজনসহ বিগত এক মাসে সাতক্ষীরাতে নিহত হয়েছে ৮ জন। সারা দেশে বজ্রপাতে সবচেয়ে বেশি নিহতের ঘটনা ঘটেছে সাতক্ষীরায়। প্রকৃতির কাছে জীবনকে বাজি রেখে জেলার প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ বজ্রপাত মাথায় নিয়ে মাঠে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। এক জন কৃষক জানান,বাড়ি থাকলে না খেয়ে মরব আর মাঠে নামলে বজ্রপাতে মরবো। বরং লড়াই করে মরাই ভাল। এছাড়া ১০ জুন ২০১৫ সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় বজ্রপাতে একই দিনে চারজন নিহত হয়। নিহতের হলেন- নকিপুর গ্রামের আমজাদ আলীর স্ত্রী সাজেদা খাতুন (২৫), তিনি মাঠ দিয়ে পানি আনতে যাওয়ার সময় বজ্রপাতে নিহত হন। অপর তিনজন হলেন, তারানিপুর গ্রামের মোফাজ্জল গাজীর ছেলে আবদুল হামিদ গাজী (৪৫), পরানপুর গ্রামের নোয়াবদি গাজীর ছেলে জিয়াদ আলি (৭০) ও গাবুরা গ্রামের রহমান পাড়ের স্ত্রী নুরনাহার (২৬)। চলতি বছরের ১১ মে পর্যন্ত সারা দেশে বজ্রপাতে মৃত্যু ১৮১৮ চলতি বছরের ১১ মে পর্যন্ত এক হাজার ৮১৮ জন ব্যক্তির বজ্র্রপাতজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে। আবহাওয়া অফিসের এক হিসাবে দেখা যায় গত আট বছরে (২০১০ থেকে ২০১৭) পর্যন্ত বজ্র্রপাতে যত মৃত্যু হয়েছে তার ৩৩ শতাংশই হয়েছে মে মাসে। বজ্র্রপাতে বাকি ৬৭ শতাংশ মৃত্যু এই আট বছরের অন্য এগারো মাসে। চলতি বছর এপ্রিলের শেষের দুইদিনই বজ্রপাতে মৃত্যুর মিছিল শুরু হয়ে মে মাস অতিক্রম করছে যা সবচেয়ে ব্রজপাতে মৃত্যুর পরিমাণ। ২০১০ সাল থেকে সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৯ মে পর্যন্ত বজ্র্রপাতে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২ হাজারেরও বেশি। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ২০১৫ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত। যে সংখ্যা ৯শ’ ৯৬ জন। আবহাওয়া অধিদপ্তরের রেকর্ড অনুযায়ী, ২০১১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত গত ৫ বছরে সারা দেশে ৫ হাজার ৭৭২টি বজ্রপাত হয়। এর মধ্যে ২০১১ সালে ৯৭৮, ২০১২ সালে ১ হাজার ২১০, ২০১৩ সালে ১ হাজার ৪১৫, ২০১৪ সালে ৯৫১ ও ২০১৫ সালে ১ হাজার ২১৮ বজ্রাঘাত হেনেছে বাংলাদেশে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দুর্যোগ ফোরামের গণমাধ্যম থেকে সংগৃহীত রিপোর্টে দেখা যায় শুধু গত এপ্রিল মাসের ১৮ তারিখের মধ্যেই সারা দেশে বজ্রপাতে মৃতের সংখ্যা নারী-পুরুষ ও শিশু মিলে ৪৮ জন। এর মধ্যে শিশু ১৪, নারী ৩ ও পুরুষ ৩১ জন। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী সাতক্ষীরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, লালমনিরহাট, সুনামগঞ্জ, দিনাজপুর ও ব্রাক্ষ্মবাড়িয়ায় সবচেয়ে বেশি বজ্রপাতের ঘটনা ঘটেছে। সংশ্লিরা জানান, বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ থেকে শুরু করে শীতের আগ পর্যন্ত তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় প্রচুর জলীয় বাষ্প ঊর্ধ্বমুখী হয়ে মেঘের ভেতরে যায়। জলীয় বাষ্পের কারণে মেঘের ভেতরে থাকা জলকণা ও বরফ কণার ঘর্ষণের ফলে বজ্র্রপাতের সৃষ্টি হয়। সাধারণত মাটি থেকে আকাশের ৪ মাইল সীমার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বজ্র্রপাতের ঘটনা ঘটে। ভয়াবহ এই বজ্র্রপাতের ছোবলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই মারা যায় যে কোনো প্রাণী। বিশ্বে বজ্রপাত নির্ণয়ের জন্য পরিচালিত গবেষণা কেন্দ্র ওয়ার্ল্ড ওয়াইড লাইটনিং লোকেশন নেটওয়ার্কের এক তথ্যে দেখা যায় বাংলাদেশে মোট বজ্র্রপাতের সংখ্যা প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১ হাজার ৮শ’রও বেশি। যা ২০১১ সালে ছিল ৯শ’ ৭৮টি। পরবর্তী বছরগুলো থেকেই তা বাড়তে থাকে। একজন আবহাওয়াবিদ জানান, দেশের কিছু জায়গা বজ্রপাত প্রবণ। এর মধ্যে সাতক্ষীরা অন্যতম। বজ্র্রপাতের কারণ ও প্রকৃতি সম্পর্কে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, একেকটি বজ্র্রপাতের সময় প্রায় ৬০০ মেগাভোল্ট বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়। অথচ একজন মানুষের মৃত্যুর জন্য মাত্র ১১০ ভোল্ট বিদ্যুৎ যথেষ্ট। আবহাওয়া দফতর বজ্রপাতের আগাম সংকেত জানাতে লাইটেনিং ডিটেক্ট সেন্সর বসানোর উদ্যোগ নিয়ে কাজ শুরু করেছে। দেশের ৮ স্থানে এই সেন্সর বসানো হবে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট, পটুয়াখালী, নওগাঁর বদলগাছি, খুলনার কয়রা ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় স্থাপিত প্রতিটি সেন্সর থেকে এক হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত মনিটরিং করা যাবে। ঝড় বৃষ্টির সময় কোন জেলার কোন এলাকায় বজ্রপাত হতে পারে তা সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারবে আবহাওয়া বিভাগ। বজ্র্রপাতের দশ মিনিট থেকে আধা ঘণ্টা এই সংকেত দেয়া যাবে। সূত্র জানায় চলতি বছরের শেষের দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রযুক্তি যাত্রা শুরু করবে।–বজ্রপাতে নিহতের ঘটনায় জেলা ব্যাপি আতঙ্ক * নিহত ৮ এছাড়া ১০ জুন ২০১৫ সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় বজ্রপাতে একই দিনে চারজন নিহত হয়। নিহতের হলেন- নকিপুর গ্রামের আমজাদ আলীর স্ত্রী সাজেদা খাতুন (২৫), তিনি মাঠ দিয়ে পানি আনতে যাওয়ার সময় বজ্রপাতে নিহত হন। অপর তিনজন হলেন, তারানিপুর গ্রামের মোফাজ্জল গাজীর ছেলে আবদুল হামিদ গাজী (৪৫), পরানপুর গ্রামের নোয়াবদি গাজীর ছেলে জিয়াদ আলি (৭০) ও গাবুরা গ্রামের রহমান পাড়ের স্ত্রী নুরনাহার (২৬)। চলতি বছরের ১১ মে পর্যন্ত সারা দেশে বজ্রপাতে মৃত্যু ১৮১৮ চলতি বছরের ১১ মে পর্যন্ত এক হাজার ৮১৮ জন ব্যক্তির বজ্র্রপাতজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে। আবহাওয়া অফিসের এক হিসাবে দেখা যায় গত আট বছরে (২০১০ থেকে ২০১৭) পর্যন্ত বজ্র্রপাতে যত মৃত্যু হয়েছে তার ৩৩ শতাংশই হয়েছে মে মাসে। বজ্র্রপাতে বাকি ৬৭ শতাংশ মৃত্যু এই আট বছরের অন্য এগারো মাসে। চলতি বছর এপ্রিলের শেষের দুইদিনই বজ্রপাতে মৃত্যুর মিছিল শুরু হয়ে মে মাস অতিক্রম করছে যা সবচেয়ে ব্রজপাতে মৃত্যুর পরিমাণ। ২০১০ সাল থেকে সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৯ মে পর্যন্ত বজ্র্রপাতে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২ হাজারেরও বেশি। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ২০১৫ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত। যে সংখ্যা ৯শ’ ৯৬ জন। আবহাওয়া অধিদপ্তরের রেকর্ড অনুযায়ী, ২০১১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত গত ৫ বছরে সারা দেশে ৫ হাজার ৭৭২টি বজ্রপাত হয়। এর মধ্যে ২০১১ সালে ৯৭৮, ২০১২ সালে ১ হাজার ২১০, ২০১৩ সালে ১ হাজার ৪১৫, ২০১৪ সালে ৯৫১ ও ২০১৫ সালে ১ হাজার ২১৮ বজ্রাঘাত হেনেছে বাংলাদেশে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দুর্যোগ ফোরামের গণমাধ্যম থেকে সংগৃহীত রিপোর্টে দেখা যায় শুধু গত এপ্রিল মাসের ১৮ তারিখের মধ্যেই সারা দেশে বজ্রপাতে মৃতের সংখ্যা নারী-পুরুষ ও শিশু মিলে ৪৮ জন। এর মধ্যে শিশু ১৪, নারী ৩ ও পুরুষ ৩১ জন। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী সাতক্ষীরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, লালমনিরহাট, সুনামগঞ্জ, দিনাজপুর ও ব্রাক্ষ্মবাড়িয়ায় সবচেয়ে বেশি বজ্রপাতের ঘটনা ঘটেছে। সংশ্লিরা জানান, বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ থেকে শুরু করে শীতের আগ পর্যন্ত তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় প্রচুর জলীয় বাষ্প ঊর্ধ্বমুখী হয়ে মেঘের ভেতরে যায়। জলীয় বাষ্পের কারণে মেঘের ভেতরে থাকা জলকণা ও বরফ কণার ঘর্ষণের ফলে বজ্র্রপাতের সৃষ্টি হয়। সাধারণত মাটি থেকে আকাশের ৪ মাইল সীমার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বজ্র্রপাতের ঘটনা ঘটে। ভয়াবহ এই বজ্র্রপাতের ছোবলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই মারা যায় যে কোনো প্রাণী। বিশ্বে বজ্রপাত নির্ণয়ের জন্য পরিচালিত গবেষণা কেন্দ্র ওয়ার্ল্ড ওয়াইড লাইটনিং লোকেশন নেটওয়ার্কের এক তথ্যে দেখা যায় বাংলাদেশে মোট বজ্র্রপাতের সংখ্যা প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১ হাজার ৮শ’রও বেশি। যা ২০১১ সালে ছিল ৯শ’ ৭৮টি। পরবর্তী বছরগুলো থেকেই তা বাড়তে থাকে। একজন আবহাওয়াবিদ জানান, দেশের কিছু জায়গা বজ্রপাত প্রবণ। এর মধ্যে সাতক্ষীরা অন্যতম। বজ্র্রপাতের কারণ ও প্রকৃতি সম্পর্কে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, একেকটি বজ্র্রপাতের সময় প্রায় ৬০০ মেগাভোল্ট বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়। অথচ একজন মানুষের মৃত্যুর জন্য মাত্র ১১০ ভোল্ট বিদ্যুৎ যথেষ্ট। আবহাওয়া দফতর বজ্রপাতের আগাম সংকেত জানাতে লাইটেনিং ডিটেক্ট সেন্সর বসানোর উদ্যোগ নিয়ে কাজ শুরু করেছে। দেশের ৮ স্থানে এই সেন্সর বসানো হবে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট, পটুয়াখালী, নওগাঁর বদলগাছি, খুলনার কয়রা ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় স্থাপিত প্রতিটি সেন্সর থেকে এক হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত মনিটরিং করা যাবে। ঝড় বৃষ্টির সময় কোন জেলার কোন এলাকায় বজ্রপাত হতে পারে তা সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারবে আবহাওয়া বিভাগ। বজ্র্রপাতের দশ মিনিট থেকে আধা ঘণ্টা এই সংকেত দেয়া যাবে। সূত্র জানায় চলতি বছরের শেষের দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রযুক্তি যাত্রা শুরু করবে।– ————-0————- আবু সাইদ বিশ্বাসঃসাতক্ষীরা: বজ্রপাতে নিহতের ঘটনায় জেলা ব্যাপি আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আকাশে বিদ্যুৎ চমকালেই সকলের মণ আতঙ্ক হয়। গত এক মাসে সারা দেশে বজ্রপাতে সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছে সাতক্ষীরায়। প্রকৃতির কাছে জীবনকে বাজি রেখে জেলার প্রায় ১০ লক্ষ কৃষক বজ্রপাত মাথায় নিয়ে মাঠে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। এক জন কৃষক জানান,বাড়ি থাকলে না খেয়ে মরব আর মাঠে নামলে বজ্রপাতে মরবো। বরং লড়াই করেই মরাই ভাল। এছাড়া ১০ জুন ২০১৫ সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় বজ্রপাতে একই দিনে চারজন নিহত হয়। নিহতের হলেন- নকিপুর গ্রামের আমজাদ আলীর স্ত্রী সাজেদা খাতুন (২৫), তিনি মাঠ দিয়ে পানি আনতে যাওয়ার সময় বজ্রপাতে নিহত হন। অপর তিনজন হলেন, তারানিপুর গ্রামের মোফাজ্জল গাজীর ছেলে আবদুল হামিদ গাজী (৪৫), পরানপুর গ্রামের নোয়াবদি গাজীর ছেলে জিয়াদ আলি (৭০) ও গাবুরা গ্রামের রহমান পাড়ের স্ত্রী নুরনাহার (২৬)। চলতি বছরের ১১ মে পর্যন্ত সারা দেশে বজ্রপাতে মৃত্যু ১৮১৮ চলতি বছরের ১১ মে পর্যন্ত এক হাজার ৮১৮ জন ব্যক্তির বজ্র্রপাতজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে। আবহাওয়া অফিসের এক হিসাবে দেখা যায় গত আট বছরে (২০১০ থেকে ২০১৭) পর্যন্ত বজ্র্রপাতে যত মৃত্যু হয়েছে তার ৩৩ শতাংশই হয়েছে মে মাসে। বজ্র্রপাতে বাকি ৬৭ শতাংশ মৃত্যু এই আট বছরের অন্য এগারো মাসে। চলতি বছর এপ্রিলের শেষের দুইদিনই বজ্রপাতে মৃত্যুর মিছিল শুরু হয়ে মে মাস অতিক্রম করছে যা সবচেয়ে ব্রজপাতে মৃত্যুর পরিমাণ। ২০১০ সাল থেকে সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৯ মে পর্যন্ত বজ্র্রপাতে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২ হাজারেরও বেশি। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ২০১৫ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত। যে সংখ্যা ৯শ’ ৯৬ জন। আবহাওয়া অধিদপ্তরের রেকর্ড অনুযায়ী, ২০১১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত গত ৫ বছরে সারা দেশে ৫ হাজার ৭৭২টি বজ্রপাত হয়। এর মধ্যে ২০১১ সালে ৯৭৮, ২০১২ সালে ১ হাজার ২১০, ২০১৩ সালে ১ হাজার ৪১৫, ২০১৪ সালে ৯৫১ ও ২০১৫ সালে ১ হাজার ২১৮ বজ্রাঘাত হেনেছে বাংলাদেশে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দুর্যোগ ফোরামের গণমাধ্যম থেকে সংগৃহীত রিপোর্টে দেখা যায় শুধু গত এপ্রিল মাসের ১৮ তারিখের মধ্যেই সারা দেশে বজ্রপাতে মৃতের সংখ্যা নারী-পুরুষ ও শিশু মিলে ৪৮ জন। এর মধ্যে শিশু ১৪, নারী ৩ ও পুরুষ ৩১ জন। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী সাতক্ষীরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, লালমনিরহাট, সুনামগঞ্জ, দিনাজপুর ও ব্রাক্ষ্মবাড়িয়ায় সবচেয়ে বেশি বজ্রপাতের ঘটনা ঘটেছে। সংশ্লিরা জানান, বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ থেকে শুরু করে শীতের আগ পর্যন্ত তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় প্রচুর জলীয় বাষ্প ঊর্ধ্বমুখী হয়ে মেঘের ভেতরে যায়। জলীয় বাষ্পের কারণে মেঘের ভেতরে থাকা জলকণা ও বরফ কণার ঘর্ষণের ফলে বজ্র্রপাতের সৃষ্টি হয়। সাধারণত মাটি থেকে আকাশের ৪ মাইল সীমার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বজ্র্রপাতের ঘটনা ঘটে। ভয়াবহ এই বজ্র্রপাতের ছোবলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই মারা যায় যে কোনো প্রাণী। বিশ্বে বজ্রপাত নির্ণয়ের জন্য পরিচালিত গবেষণা কেন্দ্র ওয়ার্ল্ড ওয়াইড লাইটনিং লোকেশন নেটওয়ার্কের এক তথ্যে দেখা যায় বাংলাদেশে মোট বজ্র্রপাতের সংখ্যা প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১ হাজার ৮শ’রও বেশি। যা ২০১১ সালে ছিল ৯শ’ ৭৮টি। পরবর্তী বছরগুলো থেকেই তা বাড়তে থাকে। একজন আবহাওয়াবিদ জানান, দেশের কিছু জায়গা বজ্রপাত প্রবণ। এর মধ্যে সাতক্ষীরা অন্যতম। বজ্র্রপাতের কারণ ও প্রকৃতি সম্পর্কে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, একেকটি বজ্র্রপাতের সময় প্রায় ৬০০ মেগাভোল্ট বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়। অথচ একজন মানুষের মৃত্যুর জন্য মাত্র ১১০ ভোল্ট বিদ্যুৎ যথেষ্ট। আবহাওয়া দফতর বজ্রপাতের আগাম সংকেত জানাতে লাইটেনিং ডিটেক্ট সেন্সর বসানোর উদ্যোগ নিয়ে কাজ শুরু করেছে। দেশের ৮ স্থানে এই সেন্সর বসানো হবে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট, পটুয়াখালী, নওগাঁর বদলগাছি, খুলনার কয়রা ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় স্থাপিত প্রতিটি সেন্সর থেকে এক হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত মনিটরিং করা যাবে। ঝড় বৃষ্টির সময় কোন জেলার কোন এলাকায় বজ্রপাত হতে পারে তা সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারবে আবহাওয়া বিভাগ। বজ্র্রপাতের দশ মিনিট থেকে আধা ঘণ্টা এই সংকেত দেয়া যাবে। সূত্র জানায় চলতি বছরের শেষের দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রযুক্তি যাত্রা শুরু করবে।—- |
|
সম্পাদক র্কতৃক প্রকাশিত |
e-mail: alorparosh@gmail.com- -- |