February 9, 2018
সদরের বল্লীতে আইনের তোয়াক্কা না করে চলাচলের পথ বন্ধ করে প্রাচির নির্মাণ

আলোর পরশ নিউজ:ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট:দূর্বলের দ্বারা সবলের অত্যাচার, আর কতদিন ? আদালত ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্দেশ অমান্য করে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লী ইউনিয়নের আমতলা গ্রামে গৃহ-প্রবেশের পথে প্রাচির নির্মাণ ও আপন ভাইয়ের সম্পত্তিতে লাগানো জাম গাছ কেটে নিয়েছে আপন আর এক ভাই প্রভাবশালী আব্দুল কাদের ও আব্দুর রশিদ এবং তার সন্তানেরা। মৃত শামছুর রহমানের ছেলে শফিউর রহমান জানান, সম্পত্তি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে অত্যাচারিত হয়ে মনের কষ্ট সইতে না পেরে স্ট্রোক জনিত কারনে আমার পিতা শামছুর রহমান পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেছেন। এখন অত্যাচারিত ও হয়রানীর শিকার হতে হচ্ছে আমাদের । সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা চলছে। সাতক্ষীরা সদর থানায় একাধিক অভিযোগ দিয়েও ফিরে পায় নাই বাড়ি ঢোকার পথ। মানবতের জীবন-যাপন করছি আমরা। সাতক্ষীরা সদর থানায় গত ইং-২৩/০২/২০১৭ তারিখে তিন শত টাকার স্ট্যাম্পে দুই পক্ষকে আপোষনামা করে মিমাংশা করে দিলেও মানছেনা মৃত এরশাদ সরদারের ছেলে আব্দুল কাদের ও আব্দুর রশিদ এবং তার সন্তানেরা। প্রভাব খাটিয়ে শামছুর রহমানের বাড়ি প্রবেশের পথ বন্ধ করে পাচিল দেওয়ার সময় আমরা বাঁধা দিয়েও কাজ হয়নি। পরবর্তীতে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে সদর থানা পুলিশ গিয়ে নির্মাণ কাজ স্থগিত রাখতে বললেও সে নির্দেশ অমান্য করে পাচিল নির্মাণ করে ঐ আইন অমান্যকারীরা। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তৎকালীন সদর থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলে। সেসময় ১০/০৪/২০১৭ তারিখে মৃত এরশাদ সরদারের ছেলে শামছুর রহমানের পক্ষে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে প্রভাবশালীরা জবর দখল করে পথ বন্ধ করে পাচিল ও গাছ-গাছালী কেটে নিয়ে যাচ্ছে মৃত এরশাদ সরদারের ছেলে আব্দুল কাদের ও আব্দুর রশিদ এবং তার সন্তানেরা। ০৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে সহিংসতা প্রতিরোধে পুলিশ প্রশাসন যখন ব্যস্ত, ঠিক সেই মুহুর্তে আমাদের সম্পত্তিতে লাগানো গাছ-গাছালী জোর পূর্বক কেটে নিতে থাকলে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করলে সদর থানার ওসি তদন্ত থানাতে ঘটনাস্থলে পাঠানোর মত পুলিশ না থাকায় ডিউটি অফিসারকে ফোন করে বিবাদীদের গাছ কাটা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিতে বলেন। সে মতো থানার ডিউটি অফিসার ফোন করে গাছ কাটা বন্ধ রাখতে বললেও নির্দেশ অমান্য করে সুযোগ বুঝে গাছ কেটে নিয়ে গেছে ঐ প্রভাবশালীরা। এই ঘটনার দ্রুত সমাধান না হলে যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে। এ ব্যাপারে ভূক্তভোগি ও সচেতন মহল জেলা পুলিশ সুপার সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষের জরুরী আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

More News


সম্পাদক র্কতৃক প্রকাশিত

e-mail: alorparosh@gmail.com- --