February 9, 2018
‘রায়ে রাজনৈতিক সঙ্কট নয়, বিএনপির অভ্যন্তরীণ সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে’
আলোর পরশ নিউজ:খালেদা জিয়ার রায়ের মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে বিএনপি নেতাদের এমন দাবি নাকচ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খালেদা জিয়ার রায়ের মাধ্যমে রাজনৈতিক সঙ্কট নয় বরং বিএনপির অভ্যন্তরীণ সঙ্কট ঘনীভূত হবে, সেটির লক্ষণ আমরা টের পাচ্ছি। শুক্রবার সকালে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাসে বিআরটিএ প্রকল্প পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার মামলা সরকার করেনি, হস্তক্ষেপও নেই। বেগম জিয়া যদি নিয়মিত হাজিরা দিতেন তবে এ মামলার অনেক আগেই রায় হয়ে যেত। এখন তিনি নিজেই দেরি করে নির্বাচনকে সামনে রেখে এই পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন। এজন্য বেগম জিয়া ও তার বিজ্ঞ আইনজীবীরাই দায়ী। সাজা হওয়ার পর খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, যার আগে ৭ বছরের সাজা হয়েছে, মানি লন্ডারিংয়ে তিনি দণ্ডিত ব্যক্তি। এ মামলায় তার দশ বছরের দণ্ড ও ২ কোটি টাকা জরিমানা হয়েছে। বিএনপির গঠনতন্ত্র থেকে কেন ৭ম ধারা তুলে দিয়েছে তা এখন পরিষ্কার। দুর্নীতিবাজদের তাদের নেতা হতে বাধা নেই। এ সময় তার সঙ্গে ঢাকা বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুস সবুর, বিআরটিএ প্রকল্পের পরিচালক সানাউল হক, গাজীপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী ডিএকেএন নাহিন রেজাসহ সড়ক ও জনপথের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপির নাশকতার দূরভিসন্ধি সফল হয়নি: ওবায়দুল কাদের জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার সাজার রায়ে আওয়ামী লীগের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। এছাড়াও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খালেদা জিয়ার রায় নিয়ে উচ্ছ্বসিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ এই রায় আদালত দিয়েছে, সরকার নয়।’ তিনি বলেন, ‘আদালতের রায়কে তারা (বিএনপি) সংবিধান বিরোধী বলেছে। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের নামে তারা দেশজুড়ে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে।’ উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা হলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কিনা এ নিয়ে গোটা দেশে সম্প্রতি গুঞ্জন ওঠে। দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। রায় ঘোষণার দিন এ পরিস্থিতি আরও চরমে পৌঁছে। এ নিয়ে উভয় দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনাও ঘটে। এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান রায় ঘোষণা করেন। এতে বিএনপির চেয়ারপারসনকে ৫ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া তারেক রহমানসহ বাকিদের ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার পর পর কড়া নিরাপত্তায় খালেদা জিয়াকে ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই আছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই মামলা আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির বিষয় না। এই রায়ে সন্তুষ্ট বা অসন্তুষ্ট হওয়ার কিছু নেই। খালেদা জিয়ার রায়ে প্রমাণ হয়েছে তারা দুর্নীতিবাজ।’ বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) খালেদা জিয়ার রায়ের পরে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন। তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এই মামলার সম্পর্ক আদালত এবং আসামিদের মধ্যে। মামলার রায়ে প্রমাণ হয়েছে আইনের ঊর্ধে কেউ নয়।’ আওয়ামী লীগের মুখপাত্র বলেন, ‘এই মামলার রায়কে কেন্দ্র করে তার নেতাকর্মীরা তাকে ঘিরে সকালে যেভাবে ধীরগতিতে আদালতে যাচ্ছিলেন এবং নাশকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা করেছিল। রায়ের দিনও রায়কে ভণ্ডল করতে চেয়েছিল। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কারণে সেটি সম্ভব হয়নি। রায়কে ঘিরে সারাদেশে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে বিএনপি।’ এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আহমদ হোসেন, এনামুল হক শামীম, মহিমুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বিজ্ঞান প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুস সবুর, উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ। |
|
সম্পাদক র্কতৃক প্রকাশিত |
e-mail: alorparosh@gmail.com- -- |