March 24, 2019
সাতক্ষীরায় ভোটার বিহীন উপজেলা নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ
সাতক্ষীরা সংবাদদাতা: হামলা,মামলা,জাল ভোট প্রদান,পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়াসহ নানা অনিয়মের মধ্য দিয়ে তৃতীয় ধাপের সাতক্ষীরায় একদলীয় উপজেলা নির্বাচন শেষ হয়েছে। সাধার মানুষ ভোট না দিয়ে সরকারের অনিয়মের প্রতিবাদ জানিয়েছে বলে সাধারণ ভোটাররা জানান। এদিকে, আশাশুনির কেন্দ্রে কেন্দ্র্রে নৌকার সমর্থকরা জোর করে ব্যালটে সীল মারছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ভিডিও ফুটেজে বিদ্রোহী প্রার্থী শহিদুল ইসলাম পিন্টু অভিযোগ করেছে। এ উপজেলার খাজরা কেন্দ্রে হাঙ্গামার খবর পাওয়া গেছে। আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা জানান, কুল্লা ইউনিয়নের আগরদাঁড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র্রে জোরপূর্বক ভোট দেওয়ার ঘটনায় কিছু সময় ধরে ভোট গ্রহন বন্ধ রাখা হয়। অপরদিকে, কলারোয়ার বাটরা কেন্দ্রে নৌকা ও আনারস প্রতিকের দুইপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে হাঙ্গামার ঘটনা ঘটেছে। এতে আনারস প্রতিকের সমর্থক মুক্তিযোদ্ধা আফছার উদ্দীনসহ তিন জন আহত হয়েছেন। আহতরা সাতক্ষীরা সদর ও কলারোয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সেখানকার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম শাহনেওয়াজ জানান, সেখানে দ্রুত নিরাপত্তা বাহিনী পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। অপরদিকে, আশাশুনির বিদ্রোহী প্রার্থী শহিদুল ইসলাম পিন্টু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার দেবনাথের দ্রুত অপসারন দাবি করে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ওসি প্রিজাইডিং অফিসারদের প্রভাবিত করে প্রতি কেন্দ্র্রে এক হাজার ব্যালটে নৌকার সিল মারার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানান ১০ টি কেন্দ্রে থেকে তার এজেন্টদের বের করে দিয়ে কর্মকর্তাদের সহায়তায় নৌকায় সিল মারা হচ্ছে। এদিকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্রকরে সহিংসতায় সাতক্ষীরার ধূলিহরে ইউপি সদস্যসহ ২ জন আহত হওয়ার ঘটনায় ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাবু সানাসহ ২৩ জনকে আসামী করে সাতক্ষীরা থানায় মামলা হয়েছে। শনিবার রাতে ইউপি সদস্য রেজাউল করিম মিঠু বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এদিকে সাতক্ষীরার সাত উপজেলায় ৭৮টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভার ৫৯৭টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ৪৯৭টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা। |
|
সম্পাদক র্কতৃক প্রকাশিত |
e-mail: alorparosh@gmail.com- -- |