এদিকে, সচেতন মহল বলছেন, জেলার বেশির ভাগ খাল দখল করে প্রভাবশারীদের মৎস চাষ,খালে প্রবাহ বন্ধ থাকায় নদীতে জোয়ার ভাটা বন্ধ হয়ে গেছে। এতে জেলার নদ নদী পানি বের হতে পারছে না। ফলে দিনের পর দিন জেলার নিন্ম অঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।
শহরের প্রাণ সায়েরের খাল দখল করে বাড়ি-ঘর, দোকান পাট তৈরি, নিয়ম-নীতি না মেনে যত্র তত্র বাঁধ দিয়ে মাছের ঘের তৈরি হওয়ায় পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে পড়ায় এখন জলমগ্ন হয়ে পড়েছে সাতক্ষীরা পৌরসভা। পানি নিষ্কাশনের পথ বের করার জন্য জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।
পানি নিষ্কাশণের ব্যবস্থা না থাকায় ধানের বীজতলা পানিতে ডুবে যাওয়া বেশির ভাগ বীজতলা নষ্ট হয়ে গেওছ। অপরদিকে মৎস্য ঘের তলিয়ে গেছে, এছাড়া এই টানা বৃষ্টি সাথে সাথে নালা নরদামা ড্রেন এবং খালের নালাগুলো নেট-পাটার মাধ্যমে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টির কারণে বদরতলা, সুবর্ণাবাদ, নাজিরেরঘের, টিকেট, হিরেরচক, শ্যামনগর, গোবরাখালী, হালদার বাড়ী, শসাডাঙ্গা, আন্দুলপোতা, পারুলিয়া, কুলিয়া, খেজুরবাড়িয়া, সখিপুর, চিনেডাঙ্গা, কোঁড়া, পাঁচপোতা, নারকেলী, দেবহাটা, বসন্তপুর, সুশিলগাতী, নওয়াপাড়া, নাংলাসহ আশপাশের এলাকাগুলোর খাল-বিলে এবং সড়কগুলো পানি জমে থাকায় জনভোগান্তির পাশাপাশি ব্যপক ক্ষয়-ক্ষতির অশংঙ্কা বিরাজ করছে।
এদিকে টানা বৃষ্টির কারণে সাধারণ মানুষ ঘর ছেড়ে কর্মস্থলে সঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারছেন না। এতে করে বিপাকে পড়ছেন সাধারণ খেটে খাওয়া দিনমুজুর পরিবারগুলো। কর্মস্থলে পৌঁছালেও কর্মহীন থাকতে হচ্ছে তাদের।