August 4, 2019
সাতক্ষীরায় নিজেদের ছোড়া গুলিতে ছাত্রলীগ নেতা গুলি বিদ্ধ!

আলোর পরশ নিউজ: নিজেদের ছেড়ো গুলিতে সাতক্ষীরা পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আজমীর হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান আহত হওয়ার দাবী করেছে।

শনিবার রাত ১১টার দিকে শহরের মাছখোলা এলালার ঝুটিতলায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ আজমীর হোসেন সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেনের ছেলে।

ঘটনার সূত্রপাত: সাতক্ষীরা শহরের মাছখোলা এলাকার শিবতলায় কয়েক জন ছাত্র একটি বাসা ভাড়া নিয়ে ছাত্রাবাস তৈরি কের। শনিবার রাতে হঠাৎ ঐছাত্রাবাসের বাইরের ফটক বন্ধ করে ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের কয়েকজন প্রবেশ করে। পরে তারা ছাত্রাবাসের ছ্ত্রাদের কাছে চাদা দাবী করে। চাদা না দেয়াতে তারা ছাত্রাবাসে থাকা সাধারণ ছাত্রদের উপর হামলা চলায়। রাতের অন্ধকারে সাধারণ ছাত্ররা দিকবিদিক ছুটাছুটি করতে থাকে। এসময় ছাত্রলীগ নেতার্কমীরা চারজন ছাত্রকে আটকে পুলিশে দেয়। এমন তথ্য দিলেন ছাত্রাসাবে থাকা আলি হোসেন। আলি হোসেন আরো জানায়, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ছাত্রাবাসে ঢুকে প্রথমে ফাকা গুলি করে তাদের আতঙ্কিত করে।পরে তাদের ছোড়া গুলিতে আজমীর হোসেন নামে তাদের এক নেতা গুলিবিদ্ধ হয়।
এঘটনায় পুলিশ ঐ ছাত্রাবাস থেকে ইব্রহিম,ইমদাদ, মুসতাকিম ও মুহিব বুল্লাহ নামে চার ছাত্রকে আটক করেছে। ছাত্রলীগের দাবী এরা শিবেরর নেতা।

এদিকে গতনির্বাচনে ইসলামী শাসতন্ত্র আন্দোলনের সাতক্ষীরা জেলার এক শীর্ষ নেতা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সৈয়দ সাদিকুর রহমানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করে। তার অভিযোগ অবৈধ অস্ত্র দিয়ে সাতক্ষীরা নবারুন মোড়ে ছাত্রলীগের এ নেতা তাকে হত্যা করতে চেয়ে ছিল।

গুলিবিদ্ধ আজমীর হোসেনের বাবা শাহাদাত হোসেন জানান, নাশকতার লক্ষ্যে একদল সন্ত্রাসী ঝুটিতলার একটি ছাত্র মেসে জড়ো হয়েছে এমন খবর যাচাই করতে ছাত্রলীগের সদস্যরা সেখানে যান। যাওয়া মাত্রই সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে প্রথমে গুলি ও পরে ইটপাটকেল ছোড়ে।

সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান বলেন, রাতে শিবতলা এলাকায় ১৫আগস্ট উপলক্ষ্যে নাশকতার লক্ষ্যে গোপন মিটিং হচ্ছে এমন খবর পেয়ে তা যাচাই করার উদ্দেশ্যে জেলা আমিসহ ৭জন ওই এলাকায় যাই। ছাত্রবাসের দরজায় নক করলে আমাদের উপস্থিতি বুঝতে পেরে সংশ্লিষ্টরা প্রথমে গুলিবর্ষণ ও পরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে ফারাবি পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। একই সময়ে আমার বুকে ইট লেগে প্রচন্ড আঘাত প্রাপ্ত হয়েছি। এরপর বের হয়ে তারা আমাদের বুকের উপর দিয়ে পদদলিত করে চলে যায়। পরে আমার তাদের দুই জনকে আটক করি এবং এলাকাবাসীর সাহায্যে আরোও দুই জনকে আটক করে পুলিশের হাতে দেওয়া হয়েছে।

সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা এই হামলা চালিয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৪ জনকে আটক করেছে। ঘটনা উদ্ধারে ওই এলাকায় পুলিশ অভিযানে নেমেছে।
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইলতুৎমিশ জানান, কারা এ হামলা ও গুলি করেছে, তা খুঁজে বের করতে মাঠে নেমেছে পুলিশ।

–আবু সাইদ বিশ্বাস:সাতক্ষীরা: ৪/৮/১৯

More News


সম্পাদক র্কতৃক প্রকাশিত

e-mail: alorparosh@gmail.com- --