December 19, 2018
লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রশ্নেও বিভক্ত ইসি
জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমদ বলেন, নির্বাচন শেষ পর্যন্ত আসলে কিভাবে হবে এখনই বলা যাচ্ছে না। এমপি, মন্ত্রিত্ব রেখে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হওয়ার সুযোগ কম। এখন পর্যন্ত যে পরিমাণ সহিংসতা দেখা যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে নির্বাচন কমিশন সঠিকভাবে তাদের কাজ করছে না অথবা করতে পারছে না। আসলে কী ঘটছে সেটা তারাই ভালো বলতে পারবে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছাড়াও বেশ কিছু বিষয় নিয়ে নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি দেখা গেছে। জাতীয় নির্বাচন এগিয়ে আসার সাথে সাথে পাঁচ সদস্যের এই কমিশনে বিভক্তিও বাড়ছে। শুনানিতে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুর করলেও সিইসি কে এম নূরুল হুদা এবং বাকি তিন কমিশনার শাহাদাত হোসেন, রফিকুল ইসলাম ও কবিতা খানম খালেদা জিয়ার আপিল নামঞ্জুর করেছেন। এর আগে গত ৩০ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের সভা হয়। ওই সময় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে আইন সংশোধনের প্রস্তাবে আপত্তি দিয়ে সভা ত্যাগ করেন মাহবুব তালুকদার। এর দেড় মাস পর ১৫ অক্টোবর কমিশন সভায় যোগ দিয়েই বাকস্বাধীনতা ‘কেড়ে নেয়ার’ অভিযোগ তুলে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়ে আবারো কমিশন সভা বর্জন করেন তিনি। কমিশনের ৩৬তম সভা শুরুর পর ১০ মিনিটের মাথায় তিনি সভাকক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেন। তবে অন্য তিন নির্বাচন কমিশনার মো: রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরীকে নিয়ে বৈঠক চালিয়ে যান সিইসি নুরুল হুদা। নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে সভা বর্জনের বিষয়ে ব্যাখ্যার মাধ্যমে বিকেলে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন মাহবুব তালুকদার। তিনি বলেন, গত বছর আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় তিন মাস নির্বাচন কমিশন অংশীজনের সাথে সংলাপের আয়োজন করে। ৪০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ছাড়াও সুশীলসমাজ, মিডিয়া, পর্যবেক্ষণকারী, নারী নেত্রী প্রমুখ সেই আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশীদারমূলক ও গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে কিছু প্রস্তাবনা শিরোনামে আমি যা আলোচনা করতে চেয়েছিলাম, নির্বাচন কমিশন সভায় তা উপস্থাপনা করতে দেয়া হয়নি। তিনি জানান, গত ৮ অক্টোবর কমিশন সচিবালয় থেকে ইউও নোটের মাধ্যমে আমাকে আজকের সভায় তা উপস্থাপনার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। আমাকে আমার প্রস্তাবনা উপস্থাপন করতে বলেও আজ তা না দেয়ায় আমি অপমানিত বোধ করেছি। মাহবুব তালুকদার বলেন, বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা আমার সংবিধান প্রদত্ত মৌলিক অধিকার। নির্বাচন কমিশন কোনোভাবেই আমার এই অধিকার খর্ব করতে পারে না। বাধ্য হয়ে আমি নির্বাচন কমিশনের এ রকম সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নোট অব ডিসেন্ট প্রদান করেছি এবং এর প্রতিবাদস্বরূপ নির্বাচন কমিশন সভা বর্জন করেছি। কমিশন সভায় উপস্থাপনার জন্য তৈরি প্রস্তাবনাগুলোও তুলে ধরেন তিনি। মাহবুব তালুকদার লিখেছেন, কমিশন সভায় তাকে বক্তব্য উপস্থাপন করতে না দেয়ার বিষয়ে কমিশনারদের ‘অভিন্ন অবস্থান’ তাকে ‘বিস্মিত ও মর্মাহত’ করেছে। ওই পাঁচ দফা প্রস্তাব কমিশন সভার কার্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করারও অনুরোধ করেছেন এই নির্বাচন কমিশনার। |
|
সম্পাদক র্কতৃক প্রকাশিত |
e-mail: alorparosh@gmail.com- -- |