November 6, 2018
আমাদের চিন্তা হাসিনার কবে মুক্তি হবে : কাদের সিদ্দিকী

 আলোরপরশ নিউজঃ

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ চলছে। বেলা দুইটায় এই সমাবেশ শুরু হয়। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা এই সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ভোটের আগে সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশ হচ্ছে।

সমাবেশে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কদের সিদ্দিকী বলেন, আমি খালেদা জিয়ার ‍মুক্তি চাই না। খালেদা জিয়ার মুক্তির দরকার নেই। আমাদের চিন্তা হাসিনার কবে মুক্তি হবে। দেশের জনগণকে যেমন বন্দী করে রাখা যাবে না তেমনই বেগম খালেদা জিয়াকেও বন্দী করে রাখা যাবে না।  বেগম খালেদা জিয়া দেশের মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে। দেশের মানুষ তাকে মুক্তি করে আনবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু এই মাঠ থেকেই যুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন আর কামাল হোসেন এই মাঠ থেকেই গণতন্ত্রের মুক্তির দিবেন। শাপলা চত্বরে আলেমদের রক্ত ঝরিয়েছে এই সরকার। আমি এই রক্তের সাথে বেইমানি করতে পারব না।

বঙ্গবীর বলেন, মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কথার কোন মূল্য নেই। তার কথার দাম নেই।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে আজকের এই জনসভার প্রধান অতিথি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। প্রধান বক্তা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ এ জোটের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য দেবেন।

 

আরো পড়ুন : কোরআন তেলাওয়াতে জনসভা শুরু : সোহরাওয়ার্দী উদ্যান জনসমুদ্র

রাজধানী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুরু হয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জনসভা। মঙ্গলবার দুপুরে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্যদিয়ে শুরু হয় এই জনসভা। জনসভা শুরুর অনেক আগেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। সকাল থেকৈই মিছিল নিয়ে আসতে থাকে কর্ম-সমর্থকরা। সকাল থেকে জনসভার মঞ্চে চলে জাসাস শিল্পীদের সাংস্কৃতির পরিবেশনা।

নির্ধারিত সময়ের আধা ঘণ্টা আগে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে জনসভার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। কোরআন তেলাওয়াত করেন ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক। এর কিছুক্ষণের মধ্যে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা মঞ্চে উঠেন।
জনসভার শুরুতেই বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে এই জনসভার আয়োজন করেছে নবগঠিত রাজনৈতিক জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আনুষ্ঠানিক শুরুর আগেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জনসভাস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান জনসমুদ্রে পরিণত হয়ে যায়। সকাল থেকেই মিছিল নিয়ে সোহরওয়ার্দী উদ্যানে আসতে শুরু করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। দুপুর ১টার আগেই জনসভাস্থল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধান অতিথি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। প্রধান বক্তা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ এ জোটের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য দেবেন।

১০টা থেকে ঐক্যফ্রন্টের জনসভার মঞ্চে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা চলছে। মঞ্চে গান পরিবেশন করছেন জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাসের শিল্পীরা। বিএনপির সংস্কৃতিবিষয়ক সহ-সম্পাদক ও জাসাসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী মনির খানও গান পরিবেশন করছেন। মনির খানের দেশাত্বক ও দলীয় সঙ্গীতে মেতেছে সোহরাওয়ার্দীতে আসা নেতাকর্মীরা।

এছাড়াও আরেক জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী বেবী নাজনীনও মাতিয়ে তুলেছেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। মনির খান ঘোষণা করেন ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ, জীবন বাংলাদেশ আমার মরণ বাংলাদেশ’ দিয়ে শুরু হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

 

More News


সম্পাদক র্কতৃক প্রকাশিত

e-mail: alorparosh@gmail.com- --