July 19, 2019
সাতক্ষীরায় মসজিদে ঢুকে তিন সহোদরকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় এক জনের মৃত্যু
আলোর পরশ নিউজ:  ছাগলে পাটের পাতা খাওয়ার প্রতিবাদ করায় মসজিদে ঢুকে নামাজ চলাকালীন তিন সহোদরকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। গত শনিবার মগরিবের নামাজের সময় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বালিয়াডাঙা জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম আকবর আলী সরদার (৫০)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বালিয়াডাঙা মাঝের পাড়ার মৃত আহম্মদ সরদারের ছেলে। আহতরা হলেন তার দু’ সহোদর ইউপি সদস্য রইচউদ্দিন সরদার(৪৬) ও আব্দুল গফফার সরদার(৪২)।

বালিয়াডাঙা গ্রামের মিজানুর রহমান সরদার জানান, একই পাড়ার আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী আনুর ছাগলে চাচা আব্দুল গফফারের পাট গাছ খায়। জানতে পেরে প্রতিবাদ করেন আব্দুল গফফার। কুঞ্চি দিয়ে চাচা ওই ছাগলের গায়ে দুটি আঘাতও করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সাত্তার ও তার ভাইয়েরা দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।
তিনি আরো জানান, শনিবার স্থানীয় বালিয়াডাঙা জামে মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়তে যায় আকবর সরদার, তার ভাই রইচউদ্দিন ও আব্দুল গফফার। ৫০ জনেরও বেশি মুসল্লির সঙ্গে নামাজে দাঁড়িয়ে থেকে তাকবিদ দেওয়ার সময় বাহিরে অবস্থান করতে দেখা যায় প্রতিবেশী পরান সরদারের ছেলে আব্দুল্লাহ সরদার, আবু তালেব সরদারের ছেলে আসাদুল, ওয়াজেদের ছেলে আসাদুলসহ কয়েকজন। এ সময় আব্দুস সাত্তারের ছেলে হাসান, আব্দুল ওয়াজেদের ছেলে ইদ্রিস আলী ও তার ভাই কুদ্দুস ধারালো রামদা নিয়ে মসজিদের মধ্যে ঢুকে আকবর, গফফার ও রইচউদ্দিনকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে। মোয়াজ্জেম আব্দুল আলালসহ মুসল্লিরা কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই হামলাকারীর চলে যায়। মুসল্লিরা তিন সহোদরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় আকবরকে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল ও পরে ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে আকবর সরদারের মৃত্যু হয়।
মিজানুর রহমান সরদার জানান, শনিবার তার তিন চাচাকে মসজিদের মধ্যে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় চাচা আব্দুল গফুর বাদী হয়ে রোববার হাসানসহ ১০জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আটজনের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। পরদিন আসামি হাসান , আক্তারুল ও আব্দুল্লাহ ব্যতীত সাতজন এজাহার নামিয় আসামি ইদ্রিস, কুদ্দুস, আসাদুল, মোতালেব , বেল্লাল, আবু তালেব ও আব্দুস সাত্তার আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার উপ-পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে সাংবাদিকদের বলেন, আব্দুল গফুরের দায়েরকৃত মামলার প্রধান তিন আসামি পলাতক রয়েছে। হত্যা চেষ্টার মামলাটির সঙ্গে হত্যার অভিযোগ সম্বলিত ৩০২/৩৪ ধারা সংযোজন করে শুক্রবারই আদালতে অগ্রবর্তী করা হবে। একই সাথে আগামী ধার্য দিনে জামিন পাওয়া আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ থাকায় পূর্বের জামিন বাতিলের আবেদন জানানো হবে। মামলার অনান্য আসামিদের সন্ধান দেওয়ার জন্য মসজিদের সকল মুসল্লি ও বাদী পক্ষের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

More News


সম্পাদক র্কতৃক প্রকাশিত

e-mail: alorparosh@gmail.com- --