August 29, 2019
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চীনের নতুন প্রস্তাব

আলোর পরশ নিউজ:  দ্বিতীয় দফায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর ফের আলোচনা শুরু করতে ‘নতুন প্রস্তাব’ দিয়েছে চীন। নোট ভারবালের মাধ্যমে গতকালই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের বিবেচনায় ওই প্রস্তাব পাঠিয়েছে বেইজিং। কূটনৈতিক সূত্র মতে, ওই প্রস্তাবের অন্যতম হচ্ছে চীনের মধ্যস্থতায় দেশটির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক আয়োজন। বাংলাদেশ যেখানে চাইবে চীন সেখানেই ত্রিপক্ষীয় ওই বৈঠক আয়োজনে আগ্রহী। আজ এ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকায় নবনিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং আলোচনা করতে পারেন। গতকাল প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন নয়া চীনা দূত। বঙ্গভবন থেকে ফেরার পথে তিনি পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হকের সঙ্গে বৈঠক করেন। আজ সকাল ১১ টায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার প্রথম সৌজন্য সাক্ষাৎ হতে যাচ্ছে।

সূত্র এ-ও বলছে, চীনের তরফে যে প্রস্তাব নোট আকারে দেয়া হয়েছে সেখানে বেইজিংয়ের মধ্যস্থতা সত্ত্বেও প্রত্যাবাসন শুরু না হওয়াকে ‘দুঃখজনক’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে- রোহিঙ্গা সঙ্কটকে এভাবে চলতে দেয়া যায় না। চীন বরাবরই প্রত্যাবাসনের পক্ষে। এ নিয়ে তারা মিয়ানমারের সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে আলোচনায় যুক্ত রয়েছে। বাংলাদেশ সময় দিলে তারা ত্রিপক্ষীয় বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা করবে বলেও এতে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়। স্মরণ করা যায় রোহিঙ্গা ঢলের দু’বছরে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে নিয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ পর্যন্ত ৩ দফা বৈঠক হয়েছে। নিউইয়র্কসহ বিভিন্ন স্থানে ওইসব বৈঠক হয়। যার মধ্য দিয়েই দ্বিতীয় দফায় ২২ শে আগষ্ট প্রত্যাবাসনের চেষ্টা হয়েছিল। ২০১৭ সালের ২৫শে আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থী আগমনের ঢল নেমেছিল। এদিন থেকে পরবর্তী একমাসে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এখানে আগে থেকে ছিল প্রায় ৪ লাখ। বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার উখিয়া টেকনাফের বিভিন্ন শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া এসব শরণার্থীদের ৯২ হাজার শিশু জন্ম নিয়েছে। সব মিলে কক্সবাজারে এখন প্রায় সাড়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুর বসবাস।

More News


সম্পাদক র্কতৃক প্রকাশিত

e-mail: alorparosh@gmail.com- --