November 26, 2018
সহজলভ্য এ ফলটি ৪০ রোগের ওষুধ

আলোরপরশ নিউজঃ বাড়িতে যদি একটা লেবুগাছ থাকে তাহলে ডাক্তার বাড়িতে যাওয়া লাগে না। অথচ এই উপকারী ফলটিকে বেশির ভাগ লোকই অবহেলা করে। লেবু সহজলভ্য ও সস্তা। লেবু নানা প্রকার- কাগজি লেবু, গোড়া লেবু, সরবতী লেবু, কলম্বগ লেবু ইত্যাদি। এগুলোর মধ্যে কাগজি লেবু বেশি উপকারী ও জনপ্রিয়। এ ছাড়া রয়েছে বাতাবি লেবু, যাকে বেশির ভাগ লোকে বলে জাম্বুরা বা বাদামি লেবু। কাগজি লেবু বিশেষ ঋতুতে পাওয়া যায়।

লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ থাকে, যা রোগ প্রতিরোধক। সর্বপ্রকার লেবুতে ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। তবে কাগজি লেবুতে অধিক পরিমাণে থাকে। লেবু মাটিতে ভালো হয়। বিচি থেকে যে গাছ হয়, তাতে লেবু আসতে দু-তিন বছর লাগে। কলমের গাছে যে বছর লাগানো হয় সে বছরই লেবু আসে। ছাদে ড্রামে মাটি দিয়ে লেবুর কলম লাগানো যায় এবং লেবু আসে। তবে ড্রামে ছাদে লাগালে প্রতি বছর পরিমাণমতো সার দিতে হয়। চিকিৎসক বা কবিরাজরা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন, বিশেষ বিশেষ নিয়মমতো লেবুর রস ব্যবহারে প্রায় ৪০ প্রকার অসুখ-বিসুখে উপকার হয়। যেমন

১) হৃদরোগে : বাতাবি লেবু বা জাম্বুরার রস যদি রোজ কোনো হৃদরোগীকে এক কাপ করে খাওয়ানো যায়, হৃদরোগ ভালো হয়ে যেতে পারে।

২) পাইলস বা অর্শরোগে : কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে সাধারণত অর্শরোগ হয়। তাই অর্শরোগীকে প্রতি রাতে শোয়ার আগে অল্প গরম পানিতে একটি কাগজি লেবু বা পাতি লেবুর রস দিয়ে পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য চলে যায়। অর্শরোগ ভালো হয়।

৩) কামেলা রোগে : কামেলা রোগকে সবাই জন্ডিস বলে। এই রোগ হলে সকাল ও বিকেলে চিনির পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়াতে হয়। এ ছাড়া গ্লুকোজের সাথে কাগজি লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়ালে জন্ডিস কমে। জাম্বুরার রসও যথেষ্ট উপকারী। কমলালেবুর রসও উপকারী।

৪) যারা অপুষ্টিতে ভোগেন : আবালবৃদ্ধবনিতা যারা অপুষ্টিতে ভুগছে, তাদের বাতাবি লেবুর রস পান করালে পুষ্টি পায়।

৫) কোষ্ঠকাঠিন্যে : যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছে। তারা সকাল ও রাতে শোয়ার আগে অল্প গরম পানিতে একটা পাতিলেবু বা কাগজি লেবুর রস এবং তাতে সামান্য লবণ ও এক চিমটি ইসবগুলের ভুসি দিয়ে শরবত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। নিয়মিত সকাল ও রাতে খেতে হয়।

৬) সর্দিতে নাক দিয়ে পানি ঝরলে : হঠাৎ ঠাণ্ডা লেগে নাক দিয়ে সর্দিতে পানি ঝরলে, হাঁচি দিলে, এক গ্লাস অল্প গরম পানিতে একটা লেবুর পুরো রস চিপে দিয়ে চামচ দিয়ে নেড়ে সকাল-বিকেল বা রাতে দুইবার খেলে ঠাণ্ডা লাগা ভালো হয়।

৭) দাদ হলে : শরীরের কোথাও দাদ হলে প্রতিদিন কাগজি লেবু বা গোড়া লেবু কেটে দাদে ঘষলে দাদের জীবাণু মারা যায়। প্রতিদিন দু-তিনবার ঘষতে হবে।

৮) বদহজম বা পেটের গোলমালে : সকালে ভেজানো চিঁড়ার পানি ফেলে দিয়ে কলা চটকে তাতে একটা লেবু পুরো রস চিপে মিশিয়ে খেলে অজীর্ণ বা পেটের গোলমাল ভালো হয়।

৯) স্বরভঙ্গে : কোনো রোগের কারণে বা ঠাণ্ডা লাগা কিংবা গানবাজনা করে স্বরভঙ্গ হলে গরম পানিতে লেবুর রস ও সামান্য আদার রস মিশিয়ে চিনিসহ খেলে স্বরভঙ্গ ভালো হয়।

১০) বমি দূরীকরণে : সাময়িক কোনো কারণে বমি হতে থাকলে দু-তিন চামচ লেবুর রসে সামান্য লবণ মিশিয়ে খেলে বমি বন্ধ হয়।

১১) ক্লান্তি দূর করে লেবু : ফুটবল খোলোয়াড়রা খেলার মাঝে লেবুর টুকরো মুখে দিয়ে চোষে, শুধু ক্লান্তি দূর করার জন্য। দীর্ঘ পরিশ্রমের পর এক গ্লাস লেবুর শরবত সব ক্লান্তি দূর করে। দেহ-মন শান্ত হয়।

More News


সম্পাদক র্কতৃক প্রকাশিত

e-mail: alorparosh@gmail.com- --