October 3, 2018
ধোনিকে আউট করতে দেশবদল!

 আলোরপরশ নিউজঃ

মহেন্দ্র সিং ধোনির উইকেট নেয়ার স্বপ্ন সব বোলারই দেখেন। দশ বছর আগে সেই স্বপ্ন দেখেছিলেন হংকং-এর স্পিনার এহসান খান। এবারের এশিয়া কাপে সেই স্বপ্নপূরণ হলো তার।

দশ বছর আগে অর্থাৎ ২০০৮ সালে এশিয়া কাপের আসর বসেছিল পাকিস্তানে। সেই বছরের ২৫ জুন খেলা হয়েছিল ভারত ও হংকংয়ের মধ্যে। সেটাই ছিল হংকংয়ের বিরুদ্ধে ভারতের প্রথম ম্যাচ। ভারত প্রথমে ব্যাট করে ৩৭৪ রান তোলে। ধোনি ১০৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সেই ম্যাচে।

রাওয়ালপিণ্ডিতে সেই ম্যাচ দেখছিলেন এহসান। খেলা দেখতে দেখতেই সেদিন তিনি শপথ নিয়েছিলেন একদিন ধোনির উইকেট নেবেন।

দশ বছর বাদে সেই স্বপ্ন সফল হয় এহসানের। এবারের এশিয়া কাপেই দেখা হয়েছিল হংকং ও ভারতের। সেই ম্যাচ দিয়েই এশিয়া কাপে অভিযান শুরু করেছিল রোহিত শর্মার ভারতীয় দল। ম্যাচে নজর কাড়েন হংকংয়ের এহসান খান, নিজাকত খান। ধোনিকে শূন্য রানে ফেরত পাঠান এহসান। আর তারপর ক্রিজেই আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া করে সেজদাহ করেন।

তার দীর্ঘ দশ বছরের লালিত স্বপ্ন অবশেষে সফল হয় এশিয়া কাপে এসে। ভারতের একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এহসানের জন্ম পাকিস্তানে। ১৯৯৯ সালে রাওয়াপিন্ডি অনূর্ধ্ব-১৫ ক্রিকেট দলের সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০২ সালে পাকিস্তান ছেড়ে এহসান চলে যান হংকংয়ে।

সাক্ষাৎকারে এহসান বলেন, ‘‘আমি সচিন তেন্ডুলকার অথবা মহেন্দ্র সিং ধোনিকে আউট করার স্বপ্ন দেখতাম। সচিনকে আউট করতে পারিনি। সেই দুঃখ রয়ে গেছে। ধোনির উইকেট অবশ্য পেয়েছি।’’

হংকংকে হারােনার পর এহসান খানদের সাজঘরে গিয়ে ধোনি তাদের দেখা করেন। সাথে অবশ্য ছিলেন একাধিক ভারতীয় ক্রিকেটারও। ভারতীয়দের মহানুভবতা দেখে মুগ্ধ হন হংকং ক্রিকেটাররা। আর এহসান বলছেন, ‘‘আত্মজীবনী লিখলে ধোনিকে নিয়ে থাকবে বড় একটা অধ্যায়।’’

 

এশিয়া কাপের সেরা অধিনায়ক মাশরাফি

অধিনায়ক হলেও তার মধ্যে নেই কোনো দামিম্ভকতা। মাঠে এবং মাঠের বাইরে সবাইকে এক সুতোয় গেঁথে রাখতে চান তিনি। তাই এই অধিনায়ক সবার কাছে ভাই নয়তো বন্ধু। বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার কথা। মাঠে তার উপস্থিতিই যথেষ্ট সতীর্থদের উজ্জীবিত রাখতে। সদ্যই শেষ হয়েছে এশিয়া কাপের ১৪তম আসর। ফাইনালে হেরেছে বাংলাদেশ। কিন্তু হৃদয় উজার করে খেলেছে মাশরাফি বাহিনী। এর কৃতিত্ব অধিনায়কের। যেকোনো পরিস্থিতিতে তিনি সিদ্ধান্ত পাল্টে ফেলেন এবং দল তার উপর চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করেন। কারণ তিনি যে সেরা। দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে তা এবার বর্হিবিশ্বেও প্রমাণিত হলো। হ্যাঁ, সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপের এবারের আসরের সেরা অধিনায়ক বলা হচ্ছে মাশরাফি মতুর্জাকে।

পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার রমিজ রাজা দীর্ঘদিন ধরেই ক্রিকেটের ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করছেন। তিনিই বাংলাদেশ অধিনায়ককে ‘সেরা’র তকমা দিয়েছেন। রমিজ বলেছেন, ‘আমার চোখে ক্যাপ্টেন অফ এশিয়া কাপ হচ্ছে মাশরাফি বিন মতুর্জা।’

কিন্তু এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন দল তো ভারত। সে হিসেবে সেরা অধিনায়ক তো রোহিত শর্মারই হওয়ার কথা। তাহলে তিনি কেন নন?

রোহিত ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন ঠিকই। কিন্তু মাঠে তিনি সরব নন, যেমনটা মাশরাফি। প্রতি বলে তিনি বোলারকে উজ্জীবিত রাখতে সচেষ্ট থাকেন। এমনকি ফিল্ডিংয়ের সময়ও। প্রতি রানের ব্যাপারে সজাগ।

এছাড়া দলে অভিজ্ঞ দুই খেলোয়াড় তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান না থাকলেও মাশরাফির নেতৃত্ব সে অভাব পূরণ করেছে। পরিস্থিতি বুঝে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ায় পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ ওভারে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ইনজুরি আক্রান্ত দল নিয়েও ফাইনাল পর্যন্ত লড়াই করে গেছেন এই ওয়ার্ল্ড ক্লাস অধিনায়ক।

অপরদিকে রোহিত মাঠে শান্ত থাকেন, যেটি তিনি নিজেও বলে থাকেন। অনেকটাই ধোনির মতো।

তবে রোহিতকে ছেড়ে মাশরাফিকে সেরার বলার ব্যাখ্যা দিয়েছেন রামিজ। বলছেন, ‘মাশরাফির হাতে ছিল না তামিম ইকবাল। ছিল না সাকিব আল হাসান। এই রানের পরেও শেষ পর্যন্ত লড়ে গেছেন। ভারতের মতো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন।’

এই সব দিক বিচার বিবেচনা করে মাশরাফিকেই সেরা অধিনায়ক বেছে নিয়েছেন রমিজ।

More News


সম্পাদক র্কতৃক প্রকাশিত

e-mail: alorparosh@gmail.com- --