আলোর পরশ নিউজ:সাতক্ষীরার কলারোয়ায় পাষন্ড স্বামী কর্তৃক অন্ত:স্বত্তা স্ত্রী পিয়া খাতুন (১৮) কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের স্বামীকে আটক করেছে। নিহত গৃহবধু পিয়া খাতুন উপজেলার ধানদিয়া গ্রামের রাজু হোসেনের স্ত্রী। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ নিহত গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আটক করা হয় নিহতের স্বামী রাজু হোসেনকে।
নিহতের বাবা একই উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের আকতারুল ইসলাম জানান, পিয়া খাতুনের মা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার পর গত দুই বছর আগে অল্প বয়সে পিয়াকে ধানদিয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে রাজুর সাথে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের সময় গরু ছাগল বিক্রি করে ৫০ হাজার টাকা যৌতুকও দেয়া হয়। এরই মধ্যে পিয়া পাঁচ মাসের অন্ত:স্বত্তা হয়ে পড়ে। গত তিন মাস আগে থেকে রাজু যৌতুক হিসাবে আরও কিছু টাকার জন্য তার মেয়েকে চাপসৃষ্টি করে আসছিলো। এরই জের ধরে গতবুধবার রাতে দু’জনের মধ্যে কথাকাটা কাটি হয়। এক পর্যায়ে রাজু রাতের কোন এক সময় পিয়ার গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তার গলায় দড়ি দিয়ে বেঁধে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে দিয়ে পিয়া আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাচার করে থাকে।পরেএলাকাবাসী জানতে পেরে কলারোয়া থানা পুলিশের সংবাদ দিলে কলারোয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় । পরে পুলিশ মৃত্যুর ঘটনার সন্দেহে স্বামী রাজু হোসেন কে আটক করে নিয়ে আসে।
কলারোয়া থানা হাজতে আটক নিহত পিয়ার স্বামী রাজু হোসেন জানান, সাংসারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মাঝে মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় ঠিকই। তবে যৌতুকের দাবি সঠিক নয়। তিনি আরো জানান, রাতের খাবর খেয়ে দু’জনে একই ঘরে ঘুমিয়ে ছিলাম। সকালে ঘরের আড়ার সাথে পিয়াকে ঝুলতে দেখে প্রতিবেশীদের খবর দেই।
পিয়া বাবা জানান,মা মরা মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে যৌতুক হিসাবে লক্ষাধিক টাকার নগদ টাকাসহ সাংসরিক জিনিস পত্র কিনে দেই । তার পরে ও ঘাতক রাজু আমার মেয়েকে বাজতে দিল না আমি এর বিচার চাই।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মনির-উল-গীয়াস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, পিয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে নিহতের স্বামী রাজু হোসেনকে আটক করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, ময়না তদন্তের জন্য নিহতের লাশ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।