September 23, 2019
সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশন শুরু কার্যতালিকায় নেই কাশ্মীর, রোহিঙ্গা ইস্যু
আলোর পরশ:বিশ্বশান্তি, উন্নয়ন ও বিশ্ব নিরাপত্তার সর্বশেষ আশ্রয়স্থল জাতিসংঘ। গত ১৭ই সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার শুরু হয়েছে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশ। ঐদিন অধিবেশনের সভাপতি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বগ্রহণ করেন জাতিসংঘে নাইজেরিয়ার সদ্যসাবেক রাষ্ট্রদূত তিজানী মোহাম্মদ-বান্দে। গত জুন মাসে সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনের সভাপতি হিসেবে তিনি নির্বাচিত হন। এর আগে বিগত ১৬ই সেপ্টেম্বর বিদায়ী সভাপতি (৭৩তম অধিবেশন) মারিয়া ফার্নান্দা ইস্পিনোজা (ইকুয়েডরের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী)-এর নিকট থেকে দায়িত্ব বুঝে নেন মোহাম্মদ বান্দে। এবারের সাধারণ অধিবেশনের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘গ্যালভানাইজিং মাল্টিলেটারাল এফোর্টস ফর পোভার্টি ইরাডিকেশন, কোয়ালিটি এডুকেশন, ক্লাইমেট এন্ড ইনক্লোশন।’ আগামী ১৪ই সেপ্টেম্বর ২০২০ পর্যন্ত চলবে এই ৭৪তম অধিবেশন। এ সময়ের মধ্যে সাধারণ পরিষদের বিবেচনার জন্য টেকসই উন্নয়ন বিষয়ে ২৬টি আইটেম, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ে ৩৭টি আইটেম, মানবাধিকার উন্নয়ন বিষয়ে ৫টি, ন্যায়বিচার ও আন্তর্জাতিক আইনের উন্নয়নে ১৬টি এবং নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে ১৭টি আইটেমসহ আরো বিভিন্ন বিষয়ের সর্বমোট ১৭৪টি সুনির্দিষ্ট আইটেম এজেন্ডাভুক্ত করেছে জাতিসংঘের জেনারেল কমিটি। কিন্তু, বর্তমান দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি ভয়াবহ হুমকি সৃষ্টিকারী রোহিঙ্গা ও কাশ্মীরের মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের একটিও এবারের সাধারণ অধিবেশনের কার্যতালিকায় (এজেন্ডা) নেই; যা দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় দেড় বিলিয়ন মানুষ এবং তাদের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য মোটেই সুখবর নয়। উল্লেখ্য, কাশ্মীর ইস্যুর ভয়াবহতা নিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ইতিমধ্যেই বলেছেন, ‘গতানুগতিক যুদ্ধে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তান পারবে না- তাই কাশ্মীর ইস্যুতে দুটি পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে তা পারমাণবিক যুদ্ধে গড়াতে পারে।’ কাশ্মীর ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ে জাতিসংঘে ইমরান খান কাশ্মীরে ভারতের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে আগুনঝরা বক্তব্য দেবেন বলে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিক্রিয়ায় গতকাল জাতিসংঘে ভারতের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি সৈয়দ আকবর উদ্দীন ‘এ ধরনের বক্তৃতা ইতিহাসের মূলপৃষ্ঠায় স্থান পায় না-সব সময় পাদটিকা হয়েই থাকে’- বলে মন্তব্য করেছেন। তবে, আশার কথা গতকাল পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের এক লিখিত অনুরোধের জবাবে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ অধিবেশনের সাইডলাইনে ভারত ও পাকিস্তান পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে সম্মত হয়েছে- আর এ সিদ্ধান্তকে ‘টেরিফিক’ বলে স্বাগত জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। |
|
সম্পাদক র্কতৃক প্রকাশিত |
e-mail: alorparosh@gmail.com- -- |