August 6, 2019
গণমাধ্যম না থাকলে সরকার ডেঙ্গুকেও গুজব বলতো

আলোর পরশ নিউজ:

:বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ডেঙ্গুর যে মহামারি চলছে সারা দেশের মানুষ এটা নিয়ে চরম আতঙ্কে রয়েছে। আর এটা নিয়ে সরকারদলীয় লোকেরা হাসি তামাশা করছেন। কিন্তু মিডিয়া অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে সমস্যাকে সারা জাতিসহ বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে, তা না হলে সরকার যা শুরু করেছিল, তারাতো বিষয়টাকে গুজব বলেই উড়িয়ে দিতো। মিডিয়া এটাকে সামনে নিয়ে এসে এখন পর্যন্ত যে ভূমিকা পালন করছে সেটা দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য প্রশংসিত। গতকাল গতকাল পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তদের সাহায্যার্থে স্বেচ্ছাসেবকদল আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার দেশের জনগণের সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছে। জনগণ আজ অসহায়। গত রোববার শুধু ঢাকায় এক হাজার  ৭৬০ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

আর এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজারের ওপরে। অথচ মন্ত্রী যিনি দায়িত্বে আছেন, এমনকি মেয়র সাহেবরা কী বলেছেন, সেটা রিপিট করতে চাই না। আসলে এদের কোনো লজ্জা নেই। এরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। তাই তাদের জবাবদিহিতা নেই। তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে, যেকোনো প্রকারে ক্ষমতায় টিকে থাকা এবং জনগণের অর্থকে লুন্ঠন করা। সংসদ তো এখন কিছুই নেই। ওখানে তথাকথিত তাদের পছন্দমতো একটা বিরোধী দল দাঁড় করিয়ে রেখেছে। এই সরকার একেবারেই গণবিরোধী। জনগণের স্বার্থবিরোধী এই সরকার।
তিনি আরো বলেন, কয়েকদিন আগে জেনেভায় মানবাধিকারের ওপরে নির্যাতনবিরোধী গুরুত্বপূর্ণ একটি কনভেনশন হয়েছে।

বর্তমান সরকার ১০ থেকে ১২ বছর ধরে ক্ষমতায়, কিন্তু সেখানে কোনো জবাবদিহি করেনি। কনভেনশনে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিটি বাংলাদেশকে ডেকে এ দেশে যে নির্যাতন হয়, সে সম্পর্কে সরকারের বক্তব্য কী জানতে চেয়েছিল। সেখানে আমাদের আইনমন্ত্রী অবলীলায় মিথ্যা কথা বলেছেন। আইনমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশে কোনো গুম-খুনের ঘটনা তার জানা নেই। পত্রিকায় দেখেছি একজন সিনিয়র সাংবাদিক মুশফিকুর রহমান গুম হয়েছেন। তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের এমপি ছিলেন ইলিয়াস আলী। চৌধুরী আলম কমিশনার ছিলেন। তাদের এখন পর্যন্ত খুঁজে পাইনি। আমাদের ছাত্রদল, ?যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, বিএনপির প্রায় ৫০০ নেতাকর্মী গুম হয়েছেন। তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমরা এমন দেশে বাস করছি, যেখানে আমাদের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই।

রক্তদান কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল প্রমুখ।

 

More News


সম্পাদক র্কতৃক প্রকাশিত

e-mail: alorparosh@gmail.com- --