June 13, 2019
এমপির উদ্বোধন করা সা’দ গ্রুপের ইজতেমার প্যান্ডেল ভেঙে দিল প্রশাসন

আলোর পরশ নিউজ: তাবলীগ জামায়াতের সাদ গ্রুপের তিন দিনব্যাপী জেলা ইজতেমার প্যান্ডেল ভেঙে দিয়েছে প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা সদরের পৌরসভার কুতুববাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

তাবলীগ জামায়াতের সাদ গ্রুপের টাঙ্গাইল জেলা শাখার নেতা এবং তিন দিনব্যাপী তাবলীগ জামায়াতের ইজতেমার আয়োজক কমিটির সদস্যরা জানান, ইসলামের সব কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য তাবলীগ জামায়াতের (সাদ গ্রুপের) পক্ষ থেকে টাঙ্গাইল জেলা ইজতেমার আয়োজন করা হয়। এই ইজতেমা এ বছর মির্জাপুর উপজেলার কুতুববাজার পরিত্যক্ত একটি খেলার মাঠে অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়।

১৩, ১৪ ও ১৫ জুন এই তিন দিনব্যাপী ইজতেমা উপলক্ষে সব রকমের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ইজতেমার মাঠে প্যান্ডেল তৈরি করে শামীয়ানা টাঙ্গানো হয়। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সড়ক পরিবহন এবং সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা একাব্বর হোসেন ইজতেমা মাঠে প্যান্ডেলের খুঁটি স্থাপন করে তিন দিনব্যাপী জেলা ইজতেমার উদ্ধোধন করেন।

অপর দিকে তিন দিনব্যাপী এই জেলা ইজতেমা যাতে না হতে পারে এ জন্য তাবলীগ জামায়াতের অপর একটি পক্ষ যোবাইর (সুরাইজম) গ্রুপ প্রশাসনের সঙ্গে যোগসাজস করে ইজতেমার প্যান্ডেল ভেঙে ফেলার গভীর ষড়যন্ত্র করে বলে আয়োজকরা অভিযোগ করেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে আমবয়ানের মাধ্যমে ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হওয়ার কথা ছিল। বয়ান শুরু হওয়ার পুর্ব মুহূর্তে টাঙ্গাইল ও মির্জাপুরের প্রশাসন পুলিশ নিয়ে ইজতেমার মাঠের প্যান্ডেল ভেঙ্গে দিয়ে মুসুল্লিদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেন। নিরুপায় তাবলীগ জামায়াতের শতশত মুসুল্লি কান্ঠালিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসা এবং কান্ঠালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে গিয়ে প্রখর রোদের মধ্যে আশ্রয় নিয়েছেন।

প্রশাসন ও পুলিশ ইজতেমা করতে না দেয়ায় মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হেনেছেন। এটা মুসল্লি হিসেবে মেনে নেয়া যায় না। প্রশাসনের বাঁধার মুখেও প্রখর রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে কান্ঠালিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসা ও স্কুল মাঠে খোলা আকাশের নিচে বসেই তিন দিনব্যাপী ইজতেমায় বয়ান চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবদুল মালেক বলেন, তাবলীগ জামায়াতের পক্ষে-বিপক্ষে দুইটি গ্রুপ রয়েছে। আয়োজক কমিটি ইজতেমা করার জন্য প্রশাসনের কোনো অনুমোদন নেননি। যে কোনো সময় দুই গ্রুপের মধ্যে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এলাকার পরিবেশ শান্ত রাখতে ও আইনশৃংখলা উন্নয়নের স্বার্থেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ইজতেমার প্যান্ডেল ভেঙে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। মুসুল্লিদের চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

More News


সম্পাদক র্কতৃক প্রকাশিত

e-mail: alorparosh@gmail.com- --