November 14, 2018
কোন দেশে আছে কত সোনা মজুত

আলোরপরশ নিউজঃ

বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে সোনার দামের ওঠাপড়ার সম্পর্ক খুবই গভীর। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের মতে, বিশ্বের বেশির ভাগ সোনা কয়েকটি দেশের হাতে গচ্ছিত। সোনার বার, গয়না সবমিলেই ধার্য করা হয়েছে এই পরিমাণ। এই তালিকায় ভারত কত নম্বরে জানেন?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে এক নম্বরে। ৮,১৩৩.৫ টন সোনা গচ্ছিত রয়েছে এই দেশে। মূলত সোনার বারের আকারেই রয়েছে এই সোনা।

জার্মানি রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। প্রায় ৩,৩৭৩ টন সোনা রয়েছে এই দেশে। কোল্ড ওয়ারের সময় এই দেশের বেশ কিছু সোনা তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের দখলে চলে যাওয়ায় সোনার পরিমাণ খানিকটা কমে গিয়েছিল।

আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের কাছে সবমিলে প্রায় ২,৮১৪ টন সোনা মজুত রয়েছে। পারস্পরিক সহযোগিতার উদ্দেশ্য নিয়েই ১৮৯টি দেশ মিলে এই সংস্থা তৈরি হয়েছিল।

ইতালির দখলে রয়েছে প্রায় ২,৪৫১ টন সোনা। তালিকায় তারা চার নম্বরে।

ফ্রান্সের দখলে রয়েছে মোট ২৪৩৫.৯ টন সোনা। এর মধ্যে বেশির ভাগটাই ১৯৫০-৬০ সালের মধ্যে ফ্রান্সের আওতায় আসে। ফ্রান্স রয়েছে পঞ্চম স্থানে।

চীনের কাছে রয়েছে প্রায় ১,৮৪২.৬ টন সোনা। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সোনা উৎপাদনকারী দেশ হল চীন। তারা রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে। এ দেশের মধ্যবিত্তদের কাছে সোনার চাহিদা বিপুল।

রাশিয়ার কাছে প্রায় ১৭৭৮.৯ টন সোনা গচ্ছিত রয়েছে। তারা সপ্তম স্থানে রয়েছে।

সুইজারল্যান্ডের দখলে রয়েছে প্রায় ১,০৪০ টন সোনা। তারা রয়েছে অষ্টম স্থানে।

জাপানের কাছে রয়েছে মোট ৭৬৫.২ টন সোনা। তালিকায় জাপানিরা ৯ নম্বরে।

নেদারল্যান্ডসের দখলে রয়েছে মোট ৬১২.৫ টন সোনা।

একাদশ স্থানে রয়েছে ভারত। প্রায় ৫৫৭.৮ টন সোনা রয়েছে ভারতের দখলে। মূলত গয়নার আকারেই সোনা রয়েছে ভারতের কাছে।

ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকের কাছে রয়েছে ৫০৪.৮ টন সোনা। যা ভারতের মোট সোনার পরিমাণের চেয়ে কম!
তুরস্কের কাছে ৪৯৫.৬ টন, তাইওয়ানের কাছে ৪২৩.৬ টন, সৌদি আরবের কাছে রয়েছে ৩২২.৯ টন সোনা।

তেলের বিনিময়ে সোনা নেবে ইরান!

আফ্রিকার দেশগুলোর কাছে সোনার বিনিময়ে জ্বালানি তেল ও তেলজাত পণ্য বিক্রি করবে ইরান। তেহরানের বিরুদ্ধে যখন মার্কিন সরকার কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে তখন অন্য দেশের সঙ্গে ইরান নিজের বাণিজ্য ঠিক রাখার জন্য এমন চিন্তা করছে।

ইরান-আফ্রিকা কাউন্সিল ফর ইকনোমিক কোঅপারেশনের সভাপতি হাসান খোশরুজেরদির বরাত দিয়ে ইরানের গণমাধ্যম এ খবর দিয়েছে। তিনি মনে করেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ইরানের জন্য বড় রকমের চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে; সেই চ্যালেঞ্জ এড়ানোর জন্য পণ্যের বিনিময়ে পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা নেয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। আফ্রিকাসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে এমন বিনিময় হতে পারে বলে তিনি জানান।

রাজধানী তেহরানে অনুষ্ঠিত একটি ফোরামে খোশরুজেরদি এসব কথা বলেন। ওই ফোরামে যোগ দিয়েছে কেনিয়া, আলজেরিয়া, আইভরিকোস্ট, মৌরিতানিয়া ও ঘানা। তিনি বলেন, যখন নিষেধাজ্ঞা ফিরে আসছে তখন বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পণ্যের বিনিময়ে পণ্য বিক্রির মাধ্যমে বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়াই সবচেয়ে ভালো সমাধান।

খোশরুজেরদি বলেন, আফ্রিকার দেশগুলো থেকে ইরান সোনা নেয়ার বিষয়ে আগ্রহী। এছাড়া, গোশত ও কৃষিজাত পণ্য নিতেও আগ্রহী ইরান। তবে পণ্যের বিনিময়ে বাণিজ্য করার জন্য তিনি সুনির্দিষ্ট কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি। ঘানা হচ্ছে আফ্রিকার দ্বিতীয় প্রধান স্বর্ণ উৎপাদনকারী দেশ এবং এটা হতে পারে ইরানের প্রধান টার্গেট। এর আগের রিপোর্ট অনুসারে ঘানাতে বিপুল পরিমাণ তেল ও তেলজাত পণ্য রপ্তানি করছে ইরান।

More News


সম্পাদক র্কতৃক প্রকাশিত

e-mail: alorparosh@gmail.com- --