September 22, 2018
সৌদি আরবে ইমামদের জন্য বিতর্কিত অ্যাপ

 আলোপরশ নিউজ; সৌদি আরবের কর্তৃপক্ষ এমন একটি মোবাইল অ্যাপলিকেশন তৈরি করছে, যা দেশটির মসজিদের ইমামদের ধর্মীয় বয়ান পর্যবেক্ষণ করবে এবং বয়ান বেশি লম্বা হয়ে গেলে সেটি ব্যবহার করে তাদের সতর্ক করা যাবে।

সৌদি আরবের ইসলাম ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী আবদুল লতিফ আল-শাইখ আল-ওয়াতান পত্রিকাকে জানিয়েছেন, এই অ্যাপটি মসজিদে ইমামদের বয়ানের ‘সময়’ এবং ‘মান’ পর্যবেক্ষণ করবে।

তবে কে বা কারা এসব পর্যবেক্ষণ তদারকি করবেন, তা এখনো পরিষ্কার নয়। ধারণা করা হচ্ছে, নিয়মিত নামাজীরা এই অ্যাপ ব্যবহার করে তাদের ইমামদের কার্যক্রম সম্পর্কে নম্বর দিতে পারবেন।

ধর্মীয় বয়ান ও শিক্ষার বিষয়ে বর্তমানে সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করছে সৌদি আরব। ‘বিদেশী, দলগত বা ব্রাদারহুড’ চিন্তাভাবনা থেকে মানুষজনকে সরিয়ে আনতে সর্বত্র একই ধরণের বয়ান চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে, যা নিয়ে দেশটিতে বিতর্ক চলছে।

আরেকটি অ্যাপ চালু করেছে সৌদি সরকার, যা ব্যবহার করে নাগরিকরা স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে খেলাধুলা পর্যন্ত নানা সরকারি সেবার বিষয়ে তাদের মতামত দিতে পারবেন।

এর আগে আরেকটি অ্যাপ চালু করেছে সৌদি সরকার, যা ব্যবহার করে নাগরিকরা স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে খেলাধুলা পর্যন্ত নানা সরকারি সেবার বিষয়ে তাদের মতামত দিতে পারবেন।

ধারণা করা হয়, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বর্তমানের এসব সংস্কারের পেছনে রয়েছেন, যিনি সৌদি আরবকে একটি আধুনিক ইসলামিক এবং উদার সমাজের দেশে পরিণত করতে চান।

যদিও এ সপ্তাহেই দেশটিতে মানবাধিকার কর্মীদের মুক্তির দাবিতে কানাডা একটি বিবৃতি দেয়ার পর সেদেশের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের পাশাপাশি বাণিজ্য সম্পর্ক স্থগিত করেছে সৌদি আরব।

আরো পড়ুন : ফেসবুকের কাছে ‘মিথ্যা খবর’ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
নয়া দিগন্ত অনলাইন (১৫ জুলাই ২০১৮, ১০:৩৩)
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক বলছে তারা মিথ্যা খবর সরিয়ে নেবে না। কারণ এটি তাদের ‘কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড’ লঙ্ঘন করেনা বলে মনে করে প্রতিষ্ঠানটি।

সামাজিক এই জনপ্রিয় নেটওয়ার্ক ব্রিটেনে বর্তমানে একটি ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে যার বক্তব্য, ‘মিথ্যা খবর আমাদের বন্ধু নয়’।

কিন্তু ফেসবুক বলছে, যারা এ প্ল্যাটফর্মে খবর প্রকাশ করছে তাদের একেকজনের ‘সম্পূর্ণ ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি’ থাকে এবং মনগড়া পোস্টগুলো সরানোর অর্থ হবে ‘মুক্ত বাক-স্বাধীনতার মূলনীতির সাথে সাংঘর্ষিক’।

পরিবর্তে তারা এটি বলছে, যেসব খবরকে ‘ভুয়া খবর’ বলে মনে হবে এমন পোস্টকে নিউজ-ফিডে নিচু অবস্থানে রাখা হবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিল রাশিয়া-এমন তথ্য আসার পর ভুয়া খবর বা মিথ্যা খবর ছড়ানোর ক্ষেত্রে ফেসবুকের ভূমিকা পর্যবেক্ষণ শুরু হয়।

বুধবার নিউইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের বোঝানোর চেষ্টা করা হয় যে, তারা এই সমস্যা সমাধানে গুরুত্ব দিয়েছে।

কিন্তু সিএনএন’এর সাংবাদিক অলিভার ডার্সি প্রশ্ন করেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত ইনফোওয়ার্স পেজ এই প্ল্যাটফর্মে রয়েছে ততক্ষণ ফেসবুক কিভাবে দাবি করে যে তারা মিথ্যা খবর ছড়ানোর বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছে?’

ইনফোওয়ার্স হচ্ছে এমন একটি ওয়েবসাইট যারা বিভিন্ন রকম মিথ্যা খবর প্রকাশের জন্য পরিচিত। তারা সরাসরি টকশো প্রচার করে অনলাইনে এবং নয় লাখের বেশি অনুসারী বা ফলোয়ার রয়েছে ফেসবুকে। এর একজন উপস্থাপক এবং ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিক হিসেবে পরিচিত অ্যালেক্স জোন্স-এর ইউটিউব গ্রাহক সংখ্যা ২ দশমিক ৪ মিলিয়নের বেশি।

তার এই প্ল্যাটফর্ম থেকে স্পষ্টই মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হয়। যেমন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রচার করা হয় যে, ২০১২ সালে স্যান্ডি হুক স্কুলে গুলির ঘটনা ছিল মার্কিন সরকারের দ্বারা প্রচারিত মিথ্যা খবর।

তো এই ইনফোওয়ার্স সম্পর্কে সিএনএন সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে ফেসবুক কর্মকর্তা জন হেজম্যান বলেন, ‘আমরা ফেসবুক চালু করেছি এমন একটি জায়গা হিসেবে যেখানে ভিন্ন ভিন্ন মানুষ তাদের বক্তব্য বা মতামত তুলে ধরতে পারে।’

কোম্পানিটি বলছে, তাদের নিয়ম ভঙ্গ করে না এমন কোন মিথ্যা খবর তারা সরিয়ে নেবে না। তবে বানোয়াট খবর মনে হবে যেগুলো, সেগুলোকে নিম্ন-র‍্যাংকিংএ ফেলা হবে।

ফ্যাক্ট চেকাররা মিথ্যা বলে শনাক্ত করেছেন এমন আর্টিকেলকে লাল রং এর সতর্কতামূলক আইকন দিয়ে পরীক্ষামূলক এক পদ্ধতি চালু করেছিল এই ওয়েবসাইটটি।

ফেসবুকের সারা সু সাংবাদিকদের বলেন, ‘মিথ্যা খবর এবং ষড়যন্ত্র তত্ত্ব সত্যিকারেই সমস্যার কারণ হতে পারে এবং এটি আমাকেও আহত করছে’।

কিন্তু‘মতামত প্রকাশের একটি মাধ্যম হিসেবে লোকজনকে পোস্ট করার সুযোগ দিচ্ছি আমরা, কিন্তু সেসব খবর দেখানোর জন্য নিউজ-ফিডের একেবারে শুরুতে জায়গা দেবো না’ সিএনএনকে বলেন ফেসবুকের একজন মুখপাত্র।



সম্পাদক র্কতৃক প্রকাশিত

e-mail: alorparosh@gmail.com- --