March 20, 2018
সাতক্ষীরা ৩ ও ৪ আসনের সীমানা পুর্ণনির্ধারণ: শ্যামনগরের আ.লীগ নেতা দোলনের আপত্তি

আলোর পরশ.কম: নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ৩৮টি সংসদীয় আসনের সীমানা পুর্ণনিধারণ সংক্রান্ত প্রস্তাবনার বিপক্ষে আপত্তি জানিয়েছে শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল হক দোলন। প্রধান নির্বাচন কমিশন বরাবর তিনি লিখিতভাবে তার আপত্তির কথা জানিয়েছেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ১৪ মার্চ ১৬টি জেলার ৩৮টি সংসদীয় আসন পরিবর্তন এনে খসড়া চূড়ান্ত করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। উক্ত ৩৮টি আসনের মধ্যে আশাশুনি, দেবহাটা ও কালিগঞ্জ উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত সাতক্ষীরা ৩ এবং শ্যামনগর ও কালিগঞ্জের অবশিষ্ঠ ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত সাতক্ষীরা ৪ আসনের সীমানা পুর্ণনির্ধারণ করে আশাশুনি ও দেবহাটা উপজেলা নিয়ে সাতক্ষীরা ৩ এবং কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলা নিয়ে সাতক্ষীরা ৪ আসন পুর্ণগঠনের প্রস্তাব করা হয়।
ইতোমধ্যে এই তালিকা বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, তালিকার বিরুদ্ধে কারও কোনো দাবি বা আপত্তি থাকলে ১ এপ্রিল বিকেল ৫টা পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। কমিশন দাবি বা আপত্তি শেষে ৩০ এপ্রিল সংসদীয় আসনের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে বলেও জানান সচিব।
এদিকে আওয়ামী লীগ নেতা আতাউল হক দোলন তার আবেদনে উল্লেখ করেছেন, ১৯৭০, ১৯৭৩, ১৯৭৯, ১৯৮৬, ১৯৮৮, ১৯৯১, ১৯৯৬ এর ১৫ ফেব্রুয়ারি ও ১৯৯৬ এর ১২ জুন এবং ২০০১ সালের নির্বাচন পর্যন্ত শ্যামনগর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে জাতীয় সংসদের ১০৯ সাতক্ষীরা ৫ আসনটি একটি স্বতন্ত্র সংসদীয় আসন ছিল। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে এই আসনটি পুর্ণগঠন করা হয়। সাতক্ষীরা জেলার ৫টি আসনের একটি কমিয়ে ৪টি আসন করা হয়। শ্যামনগর উপজেলার সাথে কালিগঞ্জের কাকশিয়ালি নদীর ওপারের ৮টি ইউনিয়ন যুক্ত করে ২০টি ইউনিয়ন নিয়ে সাতক্ষীরা ৪ আসন গঠন করা হয়। অপরদিকে কালিগঞ্জের কাকশিয়ালি নদীর উত্তর পাশের ৪টি ইউনিয়ন, দেবহাটা উপজেলা ও আশাশুনি উপজেলা নিয়ে গঠন করা হয় সাতক্ষীরা ৩ আসন।
আতাউল হক দোলন তার আবেদনে বলেছেন বর্তমানে শ্যামনগর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ভোটার সংখ্যা ২,৫৮,৪৫৮ জন। অপরদিকে কালিগঞ্জের ৮টি ইউনিয়নের ভোটার সংখ্যা ১,৪৩,১৯৪ জন। বর্তমান সাতক্ষীরা ৪ আসনের মোট ভোটার ৪,০১,৬৫২ জন। এর সাথে কালিগঞ্জের আরো ৪টি ইউনিয়ন যুক্ত হলে এই আসনের ভোটার বাড়বে ৭৮,২৮৯ জন। অর্থাৎ মোট ভোটার হবে ৪,৭৯,৯৪১ জন।
অপরদিকে আশাশুনির ১১টি ইউনিয়নের বর্তমান ভোটার ২,১৪,৬৩০ জন। আর দেবহাটার ৫টি ইউনিয়নের ভোটার রয়েছে ৯৭,৯৭৯ জন। অর্থাৎ প্রস্তাবিত সাতক্ষীরা ৩ আসনের ভোটার হবে ৩,১২,৫০৯ জন। সেক্ষেত্রে দুটি আসনের ভোটার ব্যবধান হবে ১,৬৭,৪৩২ জন। আতাউল হক দোলন উপজেলার অখন্ডতাকে প্রাধান্য না দিয়ে ভোটার ও জনসংখ্যা প্রধান্য দিয়ে ২০০৮ সালের অর্থাৎ পূর্বের সীমানা বহাল রাখার জন্য আবেদনে উল্লেখ করেছেন।

More News


সম্পাদক র্কতৃক প্রকাশিত

e-mail: alorparosh@gmail.com- --